Waqf amendment Bill: ১২ ঘণ্টার ম্যারাথন! লোকসভার পর এবার রাজ্যসভায় পাস ওয়াকফ বিল…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইতিমধ্যেই টানা প্রায় ১২ ঘণ্টা তুমুল বিতর্কের পর লোকসভায় পাস হয়ে গেল ওয়াকফ বিল। বুধবার মধ্য়রাতেরও পরে ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৮টি। বিপক্ষে পড়ে ২৩২ ভোট। আজ ওয়াকফ বিল পেশ হবে রাজ্যসভায়। ওই বিল নিয়ে বিরোধীদের কোনও যুক্তিই শেষপর্যন্ত মানতে চায়নি সরকার। 

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

সৌগত রায় প্রশ্ন তোলেন জেপিসিতে দেওয়া বিরোধীদের মতামতকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি গতকালই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্য বলেন, ওয়াকফ বিল মুসলিমদের স্বার্থ বিরোধী। কিন্তু বিরোধীদের কোনও কথাতেই কান দিল না সরকার। সংখ্য়ার বলে পাস হয়ে গেল ওয়াকফ বিল এবার রাজ্যসভাতেও পাস হল ওয়াকফ বিল। রাজ্যসভায় ১২৮ ভোটে পক্ষে এবং ৯৫ ভোট বিপক্ষে ভোট পরে। লোকসভাতে ২২৮-২৩২ ভোটে ওয়াকফ বিল পাস হয়। বেশকিছু পয়েন্ট শুক্রবার উঠে আসে।

রাজ্যসভায় ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিতর্ক চলে। শুক্রবার প্রায় ভোর রাতে ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫ পাস হয়। 

রাজ্যসভায় সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দিয়েছিল এই সংস্কার  সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য উপকারী হবে। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিলটি পেশ করা হয়। কিরেন রিজিজু সংসদে এটি উপস্থাপন করেন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। 

ওয়াকফ কী

মুসলিমরা তাদের সম্পত্তির কিছুটা অংশ ধর্মীয় কাজকর্মে ও মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য দান করে থাকেন। খুব সহজ করে বললে এটাই হল ওয়াকফ। এই সম্পত্তির আয় থেকে মসজিদের খরচ চালানো হতে পারে, শিক্ষার কাজে ব্যবহার হতে পারে, অনাথদের সাহায্য করা হতে পারে। ওইসব সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্যে রয়েছে ওয়াকফ বোর্ড। ওয়াকফ দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল যে সম্পত্তির দেখাভাল ও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জনসাধারণ। অন্যটি হল, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ করে দেওয়া হল তবে তার দেখাভাল করবেন সম্পত্তি দানকারীই। এনিয়ে পুরনো আইন রয়েছে। তা এবার সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। গোটা দেশে মোট ৮.৭ লাখ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। ভারতীয় রেল ও সেনাবাহিনীর পরই দেশে ওয়াকফের বেশি সম্পত্তি রয়েছে। 

সরকার কী করতে চাইছে

ওয়াকফের সংজ্ঞা বদল করা।

ওয়াকফ সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতির বদল।

ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে টেকনোলজির ব্যবহার বাড়ানো।

সরকার চাইছে ট্রাস্ট আর ওয়াকফের একটা পার্থক্য করতে। মুসলিমরা যে কোনও আইনেই কোনও সম্পত্তি ট্রাস্ট করুক না কেন তা আর ওয়াকফ বলে গন্য হবে না।

নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্ম পালনকারী মুসলিমরাই একমাত্র তাদের সম্পত্তি ওয়াকফ করতে পারবেন।

কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ করার আগে সেই সম্পত্তির কোনও মহিলা ওয়ারিশ যদি থাকেন তাহলে তাদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে হবে। বিধবা, অনাথ ও বিবাহ বিচ্ছিন্ন মহিলাদের স্বার্থ দেখতে হবে।

কোনও সরকারি সম্পত্তি যদি কেউ ওয়াকফ বলে দাবি করেন তাহলে তার তদন্ত করতে পারবেন কালেক্টরের উপরের ব়্যাঙ্কের কোনও অফিসার।

ওয়াকফ সম্পত্তির আয় যদি ১ লাখ টাকার উপরে হয় তাহলে সেই আয়ের অডিট করাতে হবে। ওই অডিট করবেন রাজ্যের অডিটররা।

ওয়াকফ সম্পত্তির বর্ণনা থাকবে একটি সেন্ট্রালাইজড পোর্টালে।

যারা মোতোয়াল্লি বা দেখভাল করেন তাদের ওয়াকফ সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের ওয়ারফ বোর্ডে ২ জন অমুসলিম প্রতিনিধি থাকবেন।

টানা আইনি জটিলতা এড়াতে ওয়াকফ সম্পত্তিতে ১৯৬৩ সালের লিমিটেশন আইন বলবত হবে।

যে কোনও সম্পত্তিতে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করা যাবে না।

 

আরও পড়ুন: স্টেশনে ট্রেনের আওয়াজে ঢাকা পড়ল ক্ষুধার্ত তরুণীর ধর্ষণের আর্তনাদ! যুবকের লালসা তখন…

আরও পড়ুন: মায়ের জন্য রুটি বানিয়ে, নিজের জন্য পিৎজা-কোল্ড ড্রিংক অর্ডার করে তারপর চরম পথ বেছে নিলেন প্রীতি…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link