Suicide of Robot: ভরা অফিসে আত্মঘাতী রোবট, দানা বাঁধছে রহস্য

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যন্ত্র বলে কি তার মন থাকতে নেই! দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারি কর্মচারী হিসেবে কর্মরত এক রোবটের মৃত্যুতে এনটাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গুমি সিটি কাউন্সিলের ওই ঘটনায় তাজ্জব অফিসের কর্মীরাও। সিঁড়ি থেকে ২ মিটার নিচে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায় রোবটটি। কর্মীরা একে আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন।

আরও পড়ুন-চেয়ারম্যানের বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ভরাট হচ্ছে জলাশয়, মহকুমা শাসকের কাছে বিরোধীরা

২০২৩ সাল থেকে কাজ করে আসছে ওই রোবটটি। অফিসে পরিচিতি ছিল রোবট সুপারভাইজার হিসেবে। সিটি কাউন্সিলের তরফে বলা হয়েছে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতো রোবটটি। কাউন্সিলের এক আধিকারির সংবাদমাধ্যমে জানান,সিঁড়ি থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সে ঘুরে চলেছিল। মনে হচ্ছিল তার ভেতরে বড় কোনও গোলমাল হয়েছে। এরপর হঠাত্ই সেই সিঁড়ি থেকে ২ মিটির নীচে পড়ে যায়। রোবটের দেহ খণ্ডখন্ড হয়ে যায়।

রোবটটি তৈরি করেছিল মার্কিন সংস্থা বিয়ার রোবোটিক্স। রোবেটটির ভাঙ্গা দেহাংশ সংগ্রহ করে তা কোম্পানিতে পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষার জন্য। তার পরেই হয়ে জানা যাবে শর্ট সার্কিট নাকি অন্য কোনও কারণে রোবটটির মৃত্যু হয়েছে কিনা। দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্য়মে লেখা হয়েছে অত্যন্ত দক্ষ ওই রোবটটি কেন সুইসাইড করল? অতিরিক্ত কাজের চাপই কি এর কারণ? রোবটি কাজ করতো সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। গোটা অফিসে ফ্লোরে অবাধে ঘোরাফেরা করতে পারত। লিফট নিজের ফ্লোরে আনতে পারত। তার নিজস্ব ভিজিটিং কার্ডও ছিল।

গোটা দুনিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সব থেকে বেশি রোবট কাজ করে। শিল্প ক্ষেত্রে প্রতি ১০ জন কর্মীর মধ্যে একটি রোবট। উত্পাদন শিল্প থেকে সার্ভিস সেক্টরে অটোমেশন করা হয়েছে ব্যাপক হারে। বহু ক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, একসময় এই রোবটই কি বিদ্রোহ করতে পারে? যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের ব্যবহার বেশি সেখানে রোবটের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে গুমি সিটি কাউন্সিলের ওই ঘটনা। একে একপ্রকার আত্মহত্যাই বলছেন অফিসের অধিকাংশ কর্মীরা।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link