জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:
তিন দিন আগে জন্মদিন পালন করেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। হইহুল্লোড়ও করেছিলেন। বুধবার রাতে হস্টেল থেকে দেহ উদ্ধার হল কর্নাটকের প্রথম বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। মৃতের নাম তেজস্বিনী। তিনি পোনামপেটের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। ছাত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে রহস্য তৈরি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পড়াশোনার চাপ নিতে পারছিলেন না ছাত্রী। পড়াশোনার প্রতি অনীহাও প্রকাশ করেছেন। তবে চিঠিতে হাতের লেখা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। বিষয়টি আত্মহত্যা না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাত্রীর বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Jyoti Malhotra’s lawyer Kumar Mukesh: ‘নির্দোষ’ জ্যোতিকে বাঁচাতে এলেন আইনজীবী কুমার মুকেশ! বাবার কাছে গিয়ে বললেন, লড়ব…
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব কর্নাটকের রাইচূড়ের বাসিন্দা তেজস্বিনী। উত্তর-পূর্ব কর্ণাটকের রায়চুরের বাসিন্দা মহন্তপ্পার একমাত্র মেয়ে। দিন তিনেক আগে তাঁর জন্মদিন পালন করেন বন্ধুদের সঙ্গে। যে সব বন্ধুরা তাঁর জন্মদিনে হাজির থাকতে পারেননি, বুধবার তাঁদের সকলকে মিষ্টি বিতরণ করেন। তার পর ক্লাস করে বিকেল ৪টের সময় হস্টেলে ফিরে আসেন।
সাড়ে ৪টে নাগাদ এক সহপাঠী তেজস্বিনীকে ডাকতে যান। তার এক সহপাঠী লক্ষ্য করে যে ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। বারবার ধাক্কা দেওয়া এবং ফোন করার পরেও তেজস্বিনীর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে, বিষয়টি হস্টেল সুপারকে জানান তেজস্বিনীর ওই সহপাঠী। তার পর দরজা ভেঙে ঢুকতেই তেজস্বিনীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কাছেই পড়ে ছিল একটি চিঠি। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই চিঠিতে মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পোন্নামপেট থানার অফিসাররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, প্রাথমিক পরিদর্শন করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ছাত্রী আশা উইকেও তাঁর জীবন শেষ করার আগে জীবনের ইঁদুর দৌড়ের চাপের কথা লিখে গেছেন। ‘এভাবে আইএএস হতে পারে না কেউ… ঘুম থেকে ওঠ আর পড়তে বসো…’ আত্মহত্যা করার আগে ২০ পাতার নোট রেখে গেলেন ইউপিএসসি প্রার্থী আশা।
আরও পড়ুন: Parcel Bomb case Odisha: একটা বিয়ে, গিফটবক্সে বোমা, জোড়া খুন, এক ইংরেজির অধ্যাপক অথবা প্রতিহিংসা…
আশা ইন্দোরের হীরানগর থানা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর, জীবন থেকে হাল ছেড়ে দেন। ২৫ বছর বয়সী এই তরুণী বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন। পুলিশ তার মৃত্যুর তদন্ত করে তার ঘরের দেয়ালে বই এবং অনুপ্রেরণামূলক পোস্টার খুঁজে পেয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আশা চিঠিতে লিখে গেছেন যে, ‘সে জীবনে যা হতে চায় এবং যা অর্জন করতে চায়, তা পেয়ে গেছেন…’
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ…
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)