জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সমুদ্রস্নানে নেমে যে এত বড় বিপদ ঘনিয়ে আসবে জীবনে তা কল্পনাও করতে পারেনি পরিবারের কেউ। বাবার সামনেই ছেলেকে টেনে নিয়ে গেল হাঙর। সাহায্য করতে এগিয়ে গেলেও জলজ প্রাণীটির শক্তির কাছে পরাজিত হয় হত পরিবার। চোখের সামনেই ছেলের দেহ অতলে তলিয়ে যেতে দেখে সমুদ্রপাড়েই কান্নায় ভেঙে পরেন বাবা।
আরও পড়ুন, AI Photos: শাসক যখন শিশু! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় দেখুন পুতিন থেকে বাইডেনের ছোটবেলা
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ইজিপ্টে। সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক রাশিয়ান পরিবার। সেখানেই এই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে ছেলেটির। যদিও হাঙরটিকে খুঁজে বের করে তাকে মেরে ওই যুবকের দেহাংশ বের করে প্রাণীকে মমি বানিয়ে ইজিপ্টের মিউজিয়ামে রাখা হয়। ইজিপ্টের স্থানীয় সংবাদসূত্রে বলা হয়েছে, কেন হাঙরটি কেমন ব্যবহার করল? সেই কারণ খুঁজতে ম্যারিন গবেষকরা এই হাঙরটিকে সংরক্ষণ করেছে বলে জানান হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে?
ইজিপ্টের হুরগুডা সমুদ্রে নেমেছিলেন ২৩ বছরের ভ্লাদিমির পপভ। মাথায় হাল আমলের গ্রো প্রো ক্যামেরাও ছিল জলকেলির ভিডিও শ্যুটের জন্য। পপভের বাবা জানান যে তারা এক মুহূর্তের জন্যও বুঝতে পারেননি যে হাঙর রয়েছে তাদের আশেপাশেই। দূর থেকে যেটিকে জলে ভেসে থাকা কিছু মনে করেছিলেন সেটিই যে বিভীষিকার আকার নেবে তা বুঝতে কয়েক মুহূর্ত দেরি হয়ে যায়। সেই সময় ভ্লাদিমিরকে আক্রমণ করে হাঙরটি। আচমকা এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় সকলেই। ভয়ে চিৎকারও করতে শুরু করে উপস্থিতেরা। পপভও প্রাণে বাঁচতে চেষ্টা করেন। বাবাকে সাহায্যর আর্তিও জানান। কিন্তু হিংস্র এই প্রাণীটির কাছে মনুষ্য শক্তি কাজ করেনি৷ পপভকে টেনে একেবারে জলের নিচে নিয়ে যায় হাঙর।
প্রাহ দু’ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে ওই হাঙরটির খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর প্রাণীটির অন্ত্র থেকে পাওয়া যায় ভ্লাদিমির দেহাংশও। তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ততক্ষণে শোকের রোল গোটা সৈকতজুড়ে। ছেলের দেহাংশ রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার আর্জিও জানান ক্রদনরত পপভের বাবা। এই সৈকতে যদিও হাঙরের আক্রমণ সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বেনজির৷ তবে এই ঘটনার পর স্থানীয় ও পর্যটকদের মধ্যেও ভীতি সঞ্চার করেছে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর থেকে সদাসতর্ক রয়েছে প্রশাসনও। কী ঘটেছে, কেন এমনটা হল তা নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে তদন্তও।
আরও পড়ুন, Netherlands: এবার থেকে সরকার দেশ জুড়ে নাগরিকদের বিনামূল্যে সানস্ক্রিন দেবে…