জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কৃষ্ণভক্ত মীরার দেশ, তাঁর ভজনের আর্তি সেখানকার আকাশে-বাতাসে। এহেন এক দেশে কৃষ্ণেরই আর এক রূপ জগন্নাথের আরাধনা হবে না? যা ভাবা, তাই কাজ। জয়পুরের বাঙালি কমিউনিটি এবারে করে ফেললেন রথের আয়োজন। মরুশহরের বঙ্গজগণ আগেই তৈরি করেছিলেন ‘জয়পুর বঙ্গস’ ক্লাব। ক্লাবটি চেয়েছিল বাংলার সংস্কৃতি, খাদ্য, জীবনযাপন ইত্যাদি এই মরুশহরেই নতুন ভাবে উদযাপন করতে। এবার রথ শুরুর মধ্যে দিয়ে সেই লক্ষ্যে আর এক ধাপ এগোল ‘জয়পুর বঙ্গস’ ক্লাব।
আরও পড়ুন: প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্যের রথ! ৪০ কুইন্টালের ৫২টি পদে ‘ভাণ্ডার লুট’ হয় আজও…
রথটিকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। রঙিন ফুলের উজ্জ্বলতায় দীপ্ত সেই রথ ছুটলও জয়পুরের পথে। রথ-শোভাযাত্রায় বাজল ঢাক-ঢোল। ভক্তেরা গানও গাইলেন। তাঁদের সমবেত সুরের মাধুর্য যেন ছুঁয়ে দিচ্ছিল চারপাশের পরিবেশ। কীর্তনের মাধুর্যে ধুয়ে যাচ্ছিল চারদিক।
রথ উদযাপনের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার একটা নিবিড় সুর আছে। সেটা অন্তরঙ্গ। কিন্তু রথ শুধু তো আধ্যাত্মিকতাই নয়, রথে মিশে থাকে সকলের সঙ্গে মিলনের একটা আনন্দও। সেটা বহিরঙ্গ। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি সেই আনন্দই এবার সকলে উপভোগ করলেন, কিছু শুভমুহূর্ত সকলে ভাগ করে নিলেন পরস্পরের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: Rath yatra: বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দিকে দিকে রথযাত্রা লোকারণ্য মহাধুমধাম…
এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। যা আগামী দিনেও ‘জয়পুর বঙ্গস’ ক্লাবের সভ্যদের উদ্দীপনা জোগাবে। ৭-৮ দিনের পরব, ফলত আপাতত অপেক্ষা। আয়োজন করতে হবে উল্টোরথও।