জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রে, এনসিপিতে কাকা-ভাইপোর লড়াইয়ের পরে ভেঙে গেল শরদ পাওয়ারের এনসিপি। দল ভেঙে যাওয়ার পরে সরকারে যোগ দেয় অজিত পাওয়ার। এর পর থেকেই বিরোধী নেতারা এই ঘটনাকে আক্রমণ করে চলেছেন। মহা বিকাশ আগাড়ি যেভাবে ভেঙেছে তা নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ একটানা চলছে। শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর সঞ্জয় রাউত ক্রমাগত একনাথ শিন্ডেকে কটূক্তি করছেন। তাঁরা জানিয়েছে যে এখন তার প্রয়জনিয়তা শেষ হয়ে গিয়েছে এবং মহারাষ্ট্র এবার ফের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে।
কংগ্রেস এবং এনসিপি (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) এর অন্যান্য নেতারাও বিজেপিকে আক্রমণ করছেন। এবার মহারাষ্ট্রের এই অবস্থা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন নিতিন গড়করি।
আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident: তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মারাত্মক অভিযোগ! তিন রেল আধিকারিককে গ্রেফতার করল সিবিআই
নাগপুরে কী বললেন গড়করি?
নিতিন গড়করি শুক্রবার রসিকতার সুরে বলেন যে যারা মন্ত্রী হতে ইচ্ছুক তারা সবাই এখন অসন্তুষ্ট কারণ ভিড় অনেক বেড়ে গিয়েছে। তিনি হেসে বলেন যে বিধায়ক যারা মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা জানেন না তাদের সেলাই করা নতুন স্যুটের কী হবে। নাগপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের অসন্তোষ নিয়ে কথা বলছিলেন।
আরও পড়ুন: Falaknuma Express Fire: ভয়াবহ আগুন ফলকনুমা এক্সপ্রেসে, পুড়ে ছাই ৩ কামরা
‘বিধায়কদের সেলাই করা স্যুটের কী হবে’
জানা গিয়েছে, গড়করি বলেছেন, ‘যদি সন্তুষ্টি থাকে তবে সবকিছু ঠিক আছে। যেমন কেউ যদি স্বীকার করে যে সে তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি পেয়েছে, তাহলে সে সন্তুষ্ট ও সুখী হতে পারে। বিধায়ক না হওয়ায় কর্পোরেটরা অসন্তুষ্ট, মন্ত্রী না হওয়ায় বিধায়কেরা অসন্তুষ্ট এবং ভাল মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় মন্ত্রীরাও অসন্তুষ্ট। এই অবস্থায় যাদের মন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল তাদের অবস্থা বোঝা যায়। তাঁরা নিশ্চয় অখুশি তাই ভাবছে কখনও কী তাদের নাম্বার কখনো আসবে? ভিড় বেড়ে গিয়েছে। সেই বিধায়করা স্যুট সেলাই করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে প্রার্থীদের ভিড় থাকায় ওই স্যুট নিয়ে কী করবেন’।
গড়করি আরও বলেছিলেন যে একটি হলে তার ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক বসতে পারে, তবে মন্ত্রকের আকার বাড়ানো যায় না।