জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘আমরা এগোচ্ছি সেই মুহূর্তের দিকে… ৫… ৪…৩…২…১…০…শ্রীহরিকোটা থেকে ভারতের চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণ।’ এই ছিল তাঁর শেষ ঘোষণা। আর তাঁর এই মধুর, গম্ভীর কণ্ঠস্বরের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম আমরা। পরিচিত ছিল সারা দেশবাসী। সারা ভারতবাসী। কিন্তু সেই কণ্ঠস্বর-ই আর শোনা যাবে না। প্রয়াত বিজ্ঞানী এন ভালারমাথি। ইসরোর বিজ্ঞানী ছিলেন তিনি। ইসরোর প্রতিটি রকেট উৎক্ষেপণের কাউন্টডাউনের সময় কমেন্ট্রিতে শোনা যেত তাঁরই আইকোনিক কণ্ঠস্বর। তিনি-ই ছিলেন নেপথ্য কণ্ঠ।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানী এন ভালারমাথি। চেন্নাইতে প্রয়াত হন তিনি। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। ঢলে পড়েন চিরঘুমে। এন ভালারমাথির মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আট থেকে আশি। শ্রদ্ধায় উপছে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল। সম্প্রতি চাঁদের মাটিতে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান নামিয়েছে ভারত। সেই চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণের গর্বের মুহূর্তেও নেপথ্যে তাঁর কণ্ঠতেই শোনা গিয়েছিল সেই কাউন্টডাউন। এটাই ছিল তাঁর শেষ কাউন্টডাউন ঘোষণা।
প্রাক্তন ISRO ডিরেক্টর ডক্টর পি ভি ভেঙ্কিতকৃষ্ণান টুইটারে ভালারমাথির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে লিখেছেন, ”শ্রীহরিকোটা থেকে ISRO-এর ভবিষ্যত মিশনের কাউন্টডাউনের গণনার জন্য ভালরমাথি ম্যাডামের কণ্ঠস্বর আর থাকবে না। চন্দ্রযান ৩ ছিল তাঁর চূড়ান্ত কাউন্টডাউন ঘোষণা। একটি অপ্রত্যাশিত মৃত্যু। খুব খারাপ লাগছে। প্রণাম!” ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন এন ভালারমাথি। ১৯৮৪ সালে যোগ দেন ইসরোতে। তারপর থেকে অসংখ্য মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি RISAT-1 এর প্রোজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন। ভারতে প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি রাডার ইমেজিং স্যাটেলাইট (RIS)। এই জাতীয় দ্বিতীয় উপগ্রহ দেশের।
প্রয়াত ইসরো বিজ্ঞানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাজন নানা কথা লিখেছেন।একজন লিখেছেন, ”ভালারমাথি ম্যাডামের মৃত্যুর কথা শুনে আমি খুবই দুঃখিত। তিনি অনেকের কাছে সত্যিকারের অনুপ্রেরণা ছিলেন। প্রতিটি লঞ্চিংয়ের সময় তাঁর ভয়েস মিস করব। ওম শান্তি।” অন্য আরেকজন লিখেছেন, ”আমি #AdityaL1 লঞ্চের সময় তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করেছি। আমি ভেবেছিলাম তিনি অফিসের বাইরে বা অন্য কিছু হতে পারে। কিন্তু আমি এই দুঃখজনক খবর আশা করিনি। আমি সত্যিই তাঁকে মিস করব। ওম শান্তি।”
আরও পড়ুন, Aditya L1 Mission: ভারতের প্রথম সোলার মিশন আদিত্য L1-এ বাংলার ‘আদিত্য’রা!