জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কথায় আছে শাড়িতেই নারী। সম্প্রতি গুজরাটের পুরনো আমেদাবাদে ধরা পড়লো অন্য় ছবি। চিরাচরিত ধুতি,পাঞ্জাবি পরে নয়,মাথায় ঘোমটা কপালে সিঁদুর শাড়ি পরে গরবা নাচে অংশ নেন পুরুষরা। তবে কেনো এই নিয়ম!
আজ থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রি। নবরাত্রি বলতে আমরা সাধারণ ভাবে দুর্গাপুজোর সময়ের কথাই ভাবি। আরও ভাল ভাবে বললে, মহালয়ার পরের দিন থেকে বিজয়া দশমী বা দশেরা পর্যন্ত ন’টা দিনকে বোঝায়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নবরাত্রি জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন: সাগরে ভাসা সোনা! তিমির বমি পেলে বেচে দিলেই আপনার সারা জীবন চলে যাবে…
পরনে শাড়ি, মাথায় ঘোমটা,কপালে সিঁদুর। শাড়ি পরে গরবা নাচে অংশ নেন পুরুষরা। দীর্ঘ ২০০ বছরের পুরনো অভিশাপ ঘোচাতেই কয়েক দশক ধরেই এই নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে পালন করেন তাঁরা। নবরাত্রির অষ্টম রাতে শাড়ি পরে গরবা নাচে অংশ নেন বারোট সম্প্রদায়ের সকল পুরুষরা। পূর্বপুরুষদের অভিশাপ ঘোচাতে, সংসারে সুখ, সমৃদ্ধি ও সন্তানদের মঙ্গল কামনায় পুরুষরা বছরের পর বছর এই নিয়ম পালন আসছেন। এটি শেরী গরবা নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: বন্যায় ত্রাণ বিলোতে গিয়ে জলেই ক্র্যাশ করল বায়ুসেনার হেলিকপ্টার! মারাত্মক..
নবরাত্রির সময় বারোট সম্প্রদায়ের পুরুষরা সদু মাতা মন্দিরে পুজো করেন। কথিত আছে, এই পুজো দেওয়ার একটি অন্যতম কারণ হল কয়েকশো বছর আগে সাদু বেন নামক এক মহিলা বিপদে পড়েন তাঁর সন্তানকে নিয়ে,সেই সময় তিনি বারোট পুরুষদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চান। সুরক্ষা দেওয়া তো দূরঅস্ত,সাদু বেনের সন্তানকেও মেরে ফেলা হয়। বহু বছর আগেরকার সেই নৃশংস ঘটনার জেরে,রাগে,ক্ষোভে বারোট সম্প্রদায়ের পুরুষদের অভিশাপ দিয়েছিলেন সাদু বেন। সেই অভিশাপ ঘোচাতেই শেরী গরবা নাচেন পুরুষরা। তাঁদের বিশ্বাস,এই কাজে পূর্ব অভিশাপ ঘুচে যাওয়ার পাশাপশি পুণ্য লাভ হয়।