জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টানা ১৭ বছর জেলে থাকার পর মুক্তি পেলেন বিএনপির ভিইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ কাশিমপুর কারগার থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। এতে বিজয় উল্লাস বিএনপি শিবিরে।
আরও পড়ুন-‘খুব ভালো কেক বানাই’, বড়দিনের আগে ব্যান্ডেল চার্চে রচনা..
২০০৮ সালে ২১ আগস্ট হাসিনার উপরে গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার করা হয় আব্দুস সালাম পিন্টুকে। ওই মামলায় ২০১৮ সালে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু-সহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সম্প্রতি হাইকোর্টে এই মামলার রায়ে খালাস পান পিন্টুসহ অন্যরা। পিন্চু বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও বাংলাদেশি জঙ্গিদের টাকা জুগিয়েছিলেন।
গোয়েন্দা সুত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হুজি জঙ্গিদের টাকার জোগান দিয়ে পিন্চু ভারতে একটি জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হুজি জঙ্গিরা ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, ইজরায়েল, নিউ জিল্যান্ড, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় ছিল।
হাসিনার উপরে গ্রেনেড হামলায় তদন্তকারী অফিসাররা ২০১১ সালে বাংলাদেশ আদালতে জানান, আব্দুস সালাম পিন্টু ও বাবর বাংলাদেশের বহু তরুণকে অস্ত্রের ট্রেনিং দেন। তাদের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। হাসিনাকে হুজি শেষ করতে চেয়েছিল কারণ তারা বাংলাদেশে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল হাসিনা সরকার। ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল হুজি। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৬ সালে বারাণসী বিস্ফোরণ, ২০০৭ সালে আদমেড় শরিফ বিস্ফোরণ ও ২০১১ সালের দিল্লির বিষ্ফোরণ
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)