প্রবীর চক্রবর্তী: চেয়ার ছেড়ে এবার মাটিতে! কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে কৃষিভবনে ধরনায় বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা। তারপর? টেনে হিঁচড়ে বের করে দিল পুলিস। আটক করে নিয়ে যাওয়া হল তাঁদের। ধুন্ধুমারকাণ্ড দিল্লিতে।
ঘটনার সূত্রপাত বিকেলে। এদিন দিল্লির যন্তর মন্তর সভার পর পা হেঁটে কৃষিভবনে পৌঁছন অভিষেক। কাঁধে এ রাজ্যের ‘বঞ্চিত’দের লেখা চিঠি। আর সঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ বিধায়করা। কেন? সন্ধে ৬টায় এ রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের সময় দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সাথী নিরঞ্জন জ্যোতি।
প্রায় ঘণ্টা তিনেক কৃষিভবনে অপেক্ষার করেন অভিষেক, কল্য়াণরা। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন? অভিষেক বলেন, ‘আমাদের ৬টা সময় দিয়েছিল। এখন বলছে, তিনি জানাচ্ছেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। তিনি যদি দেখা না করেন, আমরা এখানেই বসে থাকব’। শেষপর্যন্ত কৃষি ভবনে অভিষেকের নেতৃত্বে ধরনা বসেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপর কৃষি ভবনে অভিষেকের নেতৃত্বে ধরনা বসেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
কৃষি ভবনে পৌঁছয় দিল্লি পুলিসের বিশাল বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পদস্থ আধিকারিকরা। ধরনা তুলে নেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়। সঙ্গে আটকের হুঁশিয়ারিও। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন তৃণমূল নেতারা। শেষে স্রেফ টেনে-হিঁচড়ে কৃষি ভবন থেকে বের করে দেওয়াই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, মহুয়া মৈত্র, দোলা সেন ও বাকি সকলকেই আটক করে নিয়ে যায় পুলিস।
এর আগে, দিল্লির যন্তর-মন্তরের সভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, অনেক সৌজন্যতা দেখিয়েছি, আমাদের সৌজন্যতা আমাদের দুর্বলতা নয়। যদি ভাবে পুলিস দিয়ে আমাদের আন্দোলন আটকে দেবে, যদি ভাবে আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে আমাদের রুখে দেবে, যদিভাবে ইডি-সিবিআইয়ে দিকে ধমকে, চমকে তৃণমূলকে বাড়িতে বন্ধ করে রাখবে, তৃণমূল কংগ্রেস মাথা নত করবে না’।