জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্লাইমেট চেঞ্জ যে ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে, সেটা ক্রমে অনুভূত হচ্ছে। এখন পৃথিবী জুড়ে কোনও না কোনও দেশের কোনও না কোনও অংশে লেগেই থাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখন যেমন লিবিয়ায় চলছে ঝড়ের ভয়ংকর নাচনকোঁদন। এখন যেমন লিবিয়ায় চলছে ঝড়ের ভয়ংকর নাচনকোঁদন। আর তার জেরে বিধ্বংসী বন্যা। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে হওয়া ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি ও বন্যায় মৃত্যু ৫০০০ মানুষের, নিখোঁজ প্রায় ১০ হাজার মানুষ। জলস্রোতে ভেসে গিয়েছে পুরো এলাকাই!
আরও পড়ুন: Morocco Earthquake: মৃত্যু বেড়ে প্রায় ৩০০০, আহত ২৫০০-র বেশি! মরক্কোর বাতাসে শুধু ধ্বংস আর হাহাকার…
লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, শুধু ডেরনা শহরেই ২০০০-এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। ৫০০০ থেকে ৬০০০ মানুষ এখনও নিখোঁজ। স্থানীয় সরকারপ্রধানকে উদ্ধৃত করে লিবিয়ান নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডেরনায় ২০০০-এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। কিন্তু রাত পোহাতে না পোহাতেই দ্রুত বদলে গেল এই সংখ্যা-ছবি। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাড়ছে নিখোঁজের সংখ্যাও।
পুরো লিবিয়া বন্যায় ভেসে গিয়েছে। লিবিয়ার আল-বায়দা, ডেরনা, আল-মারজ, তোবরুক, টেকনিস, আল-বায়দা, আল-জাবাল আল-আখদার এবং পূর্বাঞ্চলীয় সমস্ত শহর ও গ্রাম নজিরবিহীনভাবে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। শহরের দক্ষিণে দুটি বাঁধ ভেঙে গিয়ে বন্যার তীব্রতা ও ধ্বংসক্ষমতা আরও বেশি হয়েছে। তিনটি সেতু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রবাহিত জল আশপাশের সব এলাকাকে ভাসিয়ে দিয়েছে এবং এলাকা থেকে সমস্ত ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: Kim Jong Un: রাশিয়ায় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করলেন কিম জন উন! কেন এই সফর?
সোমবারই ঝড় ও বন্যার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাকে ‘দুর্যোগক্লিষ্ট অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এলএনএ মুখমাত্র তখনই জানিয়েছিলেন, ডেরনায় ভারী বর্ষণের তীব্র চাপে বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। এর জেরে বন্যা হয়েছে। আর সেই বন্যায় বাড়িঘর ও রাস্তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।