জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চাঁদের মাটিতে হাঁটাহাঁটি শুরু করেছে রোভার প্রজ্ঞান। সেকেন্ড গতি কয়েক সেন্টিমিটার। চাঁদের মাটিতে পা দিয়েই শুরু হয়েছে বিভিন্ন রকমের তত্বতালাশ। আর তা করতে গিয়েই ৪ মিটার ব্যাসের এক গহ্বরের সামনে হাজির প্রজ্ঞান। তার পর কী হল? সোমবার বিকেলে সেটাই ট্যুইট করে জানিয়েছে ইসরো।
আরও পড়ুন-ন্যাড়া মাথায় চাঁদির উপরে তবলা বাজাল……কৌস্তভকে নিশানা দেবাংশুর
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৭ আগস্ট চাঁদের মাটিতে ঘোরাফেরা করার সময়ে ৪ মিটার ব্যাসের একটি গহ্বরের মুখোমুখি হয় প্রজ্ঞান। কিন্তু সেই গহ্বরের কিনারার ৩ মিটার আগে থেকেই সেটিকে চিনতে পেরে যায় প্রজ্ঞান। তার পরই সে দ্রুত তার পথ বদল করে নেয়।
Chandrayaan-3 Mission:
On August 27, 2023, the Rover came across a 4-meter diameter crater positioned 3 meters ahead of its location.
The Rover was commanded to retrace the path.It’s now safely heading on a new path.#Chandrayaan_3#Ch3 pic.twitter.com/QfOmqDYvSF
— ISRO (@isro) August 28, 2023
সৌরশক্তিতে বলীয়ান ৬ চাকার রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে ঘুরের ঘুরে ছবি পাঠাবে ল্যান্ডার বিক্রমে। সেখান থেকে সেইসব ছবি অরবিটার হয়ে চলে আসবে ইসরোয়। ছবি তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম পরীক্ষানিরীক্ষার ফলাফল পৃথিবীতে পাঠাবে প্রজ্ঞান।
Chandrayaan-3 Mission:
What’s new here?Pragyan rover roams around Shiv Shakti Point in pursuit of lunar secrets at the South Pole! pic.twitter.com/1g5gQsgrjM
— ISRO (@isro) August 26, 2023
মোট ১৪ দিন চাঁদের মাটিতে কাজ করবে প্রজ্ঞান। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। স্পেশ অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ এম দেশাই সংবাদমাধ্যমে বলেন, চাঁদের মাটিতে কাজ করছে প্রজ্ঞান। ইসরোর বিজ্ঞানীরা চাইছেন আগামী ১০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ মেরুর যতটা সম্ভব জায়গা দেখে নিতে। চন্দ্রায়নের মূল তিনটি বিষয় ছিল চাঁদের মাটিতে সফট ল্য়ান্ডিং, প্রজ্ঞানকে ঠিকমতো চালানো ও সেখানে থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা। আমাদের দুটো উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। তৃতীয় উদ্দেশ্যটির পরিকল্পনা মতো কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটির তাপমাত্রার কীরকম ওঠানামা তা ইসরোয় পাঠিয়েছে প্রজ্ঞান। মাটির ১০ সেন্টিমিটার গভীরতায় গিয়ে চাঁদের মাটির তাপমাত্রা মাপতে পারে প্রজ্ঞান। গত ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে পা রাখে প্রজ্ঞান। আর সঙ্গে সঙ্গেই দুনিয়ার মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে মাইল ফলক তৈরি হয়ে যায়। ভারতই হল একমাত্র দেশ যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম পা রাখল।