জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাশিয়ার রাজনৈতিক মহলের প্রবাদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করেন না! ইয়েভগেনিকেও তাহলে ক্ষমা করবেন না তিনি? অন্তত তেমনই অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলের। রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হল ভাগনার। আর এই ভাগনারেরই প্রধান হলেন ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। তাঁর বিদ্রোহ সাড়া ফেলে দিয়েছে রাশিয়ায়। হতচকিত করে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাঁর বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় তিনি তাঁর এই অভিযান বন্ধ করেন। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে রাশিয়ার অভ্যন্তরে।
আরও পড়ুন: Titanic’s Wreck: জানা গেল অতল মহাসমুদ্রের গভীরে কী ভয়ংকর কাণ্ড ঘটল টাইটানিক দেখতে যাওয়া সাবমেরিনটির…
ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন এখন বেলারুশে যাবেন। বিদ্রোহের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হবে বলে খবর। ক্রেমলিনেরই খবর যে, প্রিগোশিনকে বেলারুশে যেতে বলেছেন স্বয়ং ভ্লাদিমির পুতিন। তবে খবর, ভাগনারপ্রধান তাঁর চোখে একজন বিশ্বাসঘাতকই। এবং এই সূত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পুতিন কখনওই একজন বিশ্বাসঘাতককে ক্ষমা করবেন না! কেননা, পুতিনের দিক থেকে দেখতে গেলে প্রিগোশিন এক মূর্তিমান বিপদ। সেই ‘বিপদ’ থেকে পুতিন নিজকে সুরক্ষিত রাখবেন না তা কি হয়?
ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বিদ্রোহের জেরে পুতিন জাতির উদ্দেশে ভাষণও দিয়েছেন। সেই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, যা কিছু ঘটছে, তা বিশ্বাসঘাতকতা। এটি রুশ জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর সামিল। সশস্ত্র এই বিদ্রোহের পেছনে যাঁরা রয়েছেন সেই সব ব্যক্তির শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকারও করেছিলেন তিনি।
তবে খবর হল, রাশিয়ায় এই যে অশান্তি-বিশৃঙ্খলা দেখা গেল, তার জেরে পুতিনকে কিন্তু তেমন শক্তিশালী নেতার মতো মোটেই দেখায়নি। বরং ইদানীংকালে যা ঘটে চলেছে, তাতে পুতিনকে সত্যিই বেশ দুর্বল দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: World Rainforest Day: কাকে বলে বৃষ্টি অরণ্য? কী ভাবে সমৃদ্ধ করে সাধারণ মানুষকে?
কেন দুর্বল দেখাচ্ছে তাঁকে?
সাধারণ রাশিয়ানরা আসলে এই অভ্যুত্থান দেখে আনন্দিত। বিদ্রোহী লোকজনকে দেখে রাস্তায় তাঁরা রীতিমতো উল্লসিত। তাহলে তাঁরা কি তাঁদের সমর্থন করেন? এই সন্দেহেই পুতিন সংকটে।