জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলন্ত ট্রেনে এলোপাথাড়ি গুলি। গুলি চালান এক আরপিএফ কনস্টেবল। গুলিতে নিহত এক সিনিয়র অফিসার। সেইসঙ্গে গুলিতে নিহত আরও ৩ যাত্রী। জয়পুর-মুম্বই সেন্ট্রাল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
সোমবার সকালে মহারাষ্ট্রের পালঘর স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনসপেকটর সহ ৪ জনকে গুলি করে খুন করেন অভিযুক্ত আরপিএফ-এর কনস্টেবল। মুম্বই থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পালঘর স্টেশনটি। জয়পুর-মুম্বই সেন্ট্রাল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস (১২৯৫৬)-এর বি৫ কামরায় এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবল পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে আটক করা হয়। রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, পালঘর স্টেশন পার হওয়ার পর চলন্ত ট্রেনের মধ্যে গুলি চালান ওই আরপিএফ কনস্টেবল। সিনিয়রকে হত্যার পর পাশের বগিতে গিয়েও গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি।
এরপর পালানোর চেষ্টা করলে, রেল পুলিস এবং আরপিএফ আধিকারিকদের সহায়তায় মীরা রোডে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে সে। ধৃত অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবলের নাম চেতন সিং। এদিন ভোর ৫টা নাগাদ তিনি তাঁর কাছে থাকা সরকারি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান তাঁর আরপিএফ সহকর্মী তথা তাঁর সিনিয়র, ডিউটি ইনচার্জ এএসআই টিকা রাম মীনা। ওদিকে পাশের বগিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান আরও তিনজন যাত্রী। যাঁরা জয়পুর থেকে মুম্বই যাচ্ছিলেন। রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুরের বাসিন্দা ছিলেন টিকারাম মিনা। আর উত্তরপ্রদেশের হাথরসের বাসিন্দা চেতন সিং।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সিনিয়রকে হত্যার পর ওই কনস্টেবল অন্য একটি বগিতে গিয়ে তিন যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে। কিন্তু কী কারণে গুলি করতে শুরু করেন ওই আরপিএফ কনস্টেবল? তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন, Maihar Gangrape: কিশোরীকে গণধর্ষণ, যৌনাঙ্গে ‘রড’, সারা শরীরে কামড়! অভিযুক্তদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল সরকার