‘বাম-কংগ্রেস কর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত, তাদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছেন বিরোধী নেতারা, মোদীর মুখে বাংলার ভোট অশান্তি

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী জোটের বৈঠকে আজ যোগ দিচ্ছে কুড়িটিরও বেশি দল। পাল্টা বৈঠক করছে এনডিএও। এর মধ্যে পোর্ট ব্লেয়ারে বিরোধী জোটকে একহাত নিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এদের কাছে কিছু নয়। এদের লক্ষ্যই হল দুর্নীতি করা। এদের কাছে আগে এদের পরিবার। নিজেদের গোষ্ঠীর দলগুলির দুর্নীতি দেখলেই এদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-দুই বঙ্গেই কমবে বৃষ্টি, সামান্য বাড়বে তাপমাত্রা

পোর্ট ব্লেয়ারে সাভারকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন ইন্টিগ্রেটেড টার্মিনাল বিল্ডিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী বলেন, কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। ওখানে প্রকাশ্যে ব্যাপক হিংসা হয়েছে। এখনও খুনোখুনি হচ্ছে। এনিয়েও বিরোধীদের মুখে কুলুপ। কংগ্রেস, বাম কর্মকর্তারা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে দৌড়চ্ছেন। কিন্তু কংগ্রেস ও বাম নেতারা তাদের কর্মকর্তাদের খুনিদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন নিজেদের স্বার্থে। রাজস্থানে মেয়েদের উপরে অত্য়াচার হোক বা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র লিক হোক, এদের চোখে কিছুই পড়ে না। পরিবর্তনের কথা বলে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে এরা। কোটি কোটি টাকার মদ দুর্নীতি যখন হয় তখন তাকেও এরা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। দেশের কোনও এজেন্সি যখন এইসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে তখন এদের সঙ্গীসাথীরা চোখে ঠুলি পরে বসে থাকে। আর ওদের টেপ রেকর্ডার চালু হয়ে যায়। তামিলনাড়ুতে দেখুন। বহু দুর্নীতি সামনে আসেছে। কিন্তু এই জোটের সব দল আগে থেকেই সেইসব দুর্নীতিকে ক্লিন চিট  দিয়ে রেখেছে। তাই এদের চিনে রাখুন। এদের ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আমাদের উন্নয়ণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেন, পরিবারবাদী পার্টিগুলো কখনওই দেশের যুবশক্তির সঙ্গে ছিল না। এদের একটাই এজেন্ডা। নিজেদের পরিবার বাঁচাও, পরিবারের জন্য দুর্নীতি বাড়াও। এদের কমন মিনিমান প্রোগ্রাম হল, দেশের উন্নয়ণ থামানো, কুশাসন বাড়ানো ও নিজেদের দুর্নীতির উপরে পর্দা দিয়ে আড়াল করা। এই যে দলগুলি একজোট হয়েছে তারা বড়বড় দু্নীতিতে মৌন হয়ে যায়। যখন কোনও একটি রাজ্যে এদের কুশাসনের পর্দাফাঁস হয় তখন অন্য রাজ্যের লোকজন তাদের বাঁচাতে সুর চাড়াতে শুরু করে। যখন কোনও বন্যা নিয়ে দুর্নীতি হয়, কোনও অপহরণ হয় তখন এদের সহযোগীরা চুপ করে যায়।

মোদীর ওই বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, নরেন্দ্র মোদী ভয় পেয়েছেন। তাঁর ওই বক্তব্য প্রমাণ করে ২০২৪ সালের বিদায়ঘণ্টা মোদী শুনতে পাচ্ছেন। তাই অমিত মালব্য যে সুরে কথা বলছেন, তাঁর দলের লোডশেডিংয়ে জেতা নেতাও একই ভাষায় কথা বলছেন। এখন প্রধানমন্ত্রীও সেই সুরে কথা বলছেন। কারণ তিনি জানেন ৩০৩টি সাংসদের দম্ভে সাড়ে চার বছর এনডিএর মিটিং করেননি। এখন যখন ২৬টি রাজনৈতিক দল এক জয়াগায় আসছে তখন ৩৬টা দলকে একসঙ্গে করার চেষ্টা করছেন। ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৭০ শতাংশ আসনে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। বিরোধীরা ৩ মাস বাড়ি ঢুকতে পারে না। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

Source link