জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১০ সালে ব্যাপক আকারের উদগীরণ ঘটেছিল। ঘটেছিল দারুণ বিপর্যয়। এবারও কি তাই হবে? আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকাভিকে ২২০০ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে! আইসল্যান্ড জানিয়েছে, এত বেশিসংখ্যক ভূমিকম্পের কারণে আগ্নেয়গিরি থেকে লাভার উদ্গিরণ শুরু হতে পারে। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস (আইএমও) জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন: Groundwater Extraction: একটু-একটু করে সরে যাচ্ছে পৃথিবীর অক্ষরেখা! ভূগর্ভস্থ জলের সঙ্গে এ বিপর্যয়ের কী সম্পর্ক?
প্রথম ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকাভিক থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ফাগরাদশপিয়াচ পাহাড়ের নীচে। ফাগরাদশপিয়াচ একটি আগ্নেয়গিরির উপর অবস্থিত। আগ্নেয়গিরিটি থেকে গত দুবছরে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে, দুই দফায় লাভা উদ্গিরণ হয়েছিল। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইসল্যান্ডের কোথাও কোনও লাভার উদ্গিরণ দেখা যায়নি। তবে খুব শিগগিরই হয়তো সেখানে লাভা উদ্গিরণ শুরু হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিসের (আইএমও) তথ্য বলছে, এইসব ভূমিকম্পের মধ্যে মাত্র চারটির মাত্রা চারের বেশি ছিল, যা মৃদু ভূমিকম্প হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে।
এই ভূমিকম্পের ফলে বিমান চালনাসংক্রান্ত সতর্কতা-সিগন্যাল ‘সবুজ’ থেকে ‘কমলা’ করা হয়। প্রসঙ্গত, ইউরোপের মধ্যে আইসল্যান্ড সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি-অঞ্চল।
আইসল্যান্ড হল ইউরোপের সব চেয়ে বড় ও সব চেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিময় অঞ্চল। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট যেকটি ভূমিকম্প ঘটেছে তার মধ্যে ৭টি রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার উপরে।
আরও পড়ুন: Erectile Dysfunction: দ্রুত লিঙ্গোত্থান! জানতেন ‘ইরেকটাইল ডিসফাংশনে’র এই পিঁপড়ে-চিকিৎসা?
এর আগেও অবশ্য আইসল্যান্ডে এরকম বিপর্যয় ঘটেছে। ২০১০ সালে ব্যাপক আকারের উদগীরণ ঘটেছিল। প্রায় ১ লক্ষ উড়ান বাতিল হয়েছিল। প্রায় ১ কোটি যাত্রী বিপদে পড়েছিলেন।