জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ব উষ্ণায়নের ছোঁয়া এবার হিমালেয়ও। জানা গিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হিমালয়ের হিমবাহগুলি এখন আগের চেয়ে ৬৫ শতাংশ বেশি দ্রুত হারে গলছে। এর জেরে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এশিয়ার প্রায় ২০০ কোটি মানুষের জলের উৎস হিমালয়ের এই হিমবাহগুলি। কাঠমান্ডুর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনটিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের (International Centre for Integrated Mountain Development) এক গবেষণা বলছে, হিমালয়ের হিমবাহগুলি ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে এর আগের দশকের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি হারে গলেছে। আর আগামী দিনেও এভাবে গলতে থাকলে চলতি শতকের মধ্যেই হিমালয়ের হিমবাহগুলির ৮০ শতাংশ উধাও হয়ে যাবে!
আরও পড়ুন: Titanic’s Wreck: মহাসমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট নীচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে হারিয়ে গেল সাবমেরিন…
এর আগের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি মেনে গ্লোবাল টেম্পারচার যদি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বাড়ে, তাহলেই হিমালয়ের হিমবাহগুলির অর্ধেক ২১০০ সালের মধ্যেই নিঃশেষ হয়ে যাবে! আর যদি বিশ্বের তাপমাত্রাবৃদ্ধি শিল্প বিপ্লবের যুগের আগের যে লক্ষ্যমাত্রায়– দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস– সীমাবদ্ধ রাখতে পারা যায় তবে ক্ষতি কিছু কম হবে। তবে তখনও ৩৬ শতাংশ হিমবাহ উধাও হয়ে যাবে! ক্ষতি হিসেবে মোটেই কম নয়।
হিন্দুকুশ হিমালয় (Hindu Kush Himalayas) অঞ্চলের হিমবাহগুলি এর আশপাশের পাহাড়ি এলাকার ২৪ কোটি মানুষের জলের উৎস। এ ছাড়া নীচের দিকে মানে, সমতলের দিকের নদী উপত্যকার আরও ১৬৫ কোটি মানুষ হিমালয়ের জলের উপরই নির্ভর করেন।
গঙ্গা, সিন্ধু, মেকং, হোয়াংহো, ইরাবতী-সহ বিশ্বের বড় বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর জলের উৎস হিমালয়ের হিমবাহগুলি। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোটি কোটি মানুষের খাদ্য, জ্বালানি ও দূষণমুক্ত বায়ুর জোগান দেয় হিমালয়। একই সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষের রুটিরুজিও অনেকটাই এর উপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন: Hottest June: এত উষ্ণ জুন এর আগে কখনও আসেনি! বিস্মিত বিশ্ব জোড়া আবহাওয়াবিদেরা…
আইসিআইএমওডি’র (ICIMOD) পরিবেশবিজ্ঞানী ফিলিপাস ওয়েসটার বলেছেন, তাপমাত্রা বাড়লে হিমবাহগুলি গলবে, এ স্বাভাবিক। কিন্তু এগুলি গলছে অস্বাভাবিক হারে, অতি দ্রুততার সঙ্গে। আমরা যেমনটা ভেবেছিলাম, তার চেয়েও ঢের বেশি গতিতে!