Air India ‘Black Box’ Damaged: অভিশপ্ত বিমানের জোড়া ব্ল্যাক বক্সই ক্ষতিগ্রস্ত, এতটাই যে কোনও তথ্য মেলা দুষ্কর! এবার আমেরিকাই তবে…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ১২ জুন আমদাবাদে দুর্ঘটনাগ্রস্ত (Ahmedabad Plane Crash) এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (Air India Crash) বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স’ (Black Box) অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। ব্ল্যাক বক্সের ডেটা উদ্ধার করতে সেটি আমেরিকায় পাঠানো হতে পারে এমনটাই খবর। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নেবে। 

‘ব্ল্যাক বক্স’ আসলে দুটি যন্ত্র নিয়ে গঠিত — ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR)। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের এই ব্ল্যাক বক্স আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB)-এ পাঠানো হতে পারে পরীক্ষার জন্য। সূত্রের খবর, যদি ব্ল্যাক বক্সটি আমেরিকায় পাঠানো হয়, তাহলে একদল ভারতীয় কর্মকর্তা সেটির সঙ্গে যাবেন যাতে সব আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনে চলা হয়।

আরও পড়ুন- Sunjay kapur Funeral: সঞ্জয়েই শেষকৃত্যেই বড় সিদ্ধান্ত! ১০০০০ কোটির কোম্পানি সামলাবেন করিশ্মার মেয়ে সামাইরাই…

দুর্ঘটনার বিবরণ

গত ১২ জুন দুপুর ১:৩৯ মিনিটে আমদাবাদের সরদার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171 উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। মাত্র ৩৬ সেকেন্ডের মাথায় ককপিট থেকে একটি “Mayday” সংকেত পাঠানো হয়, এরপর বিমানটির সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটি ১:৪০ মিনিট নাগাদ মেঘানীনগরের BJ মেডিকেল কলেজ হোস্টেল চত্বরে ভেঙে পড়ে, যার ফলে বিস্ফোরণে চারিদিক অন্ধকার হয়ে যায়। বিমানে ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে মাত্র একজন যাত্রী, ব্রিটিশ-ভারতীয় নাগরিক, প্রাণে বেঁচে যান। হোস্টেলে থাকা ৩৩ জন সাধারণ নাগরিকও নিহত হন।

‘ব্ল্যাক বক্স’ উদ্ধার ও বিশ্লেষণ

দুর্ঘটনার ২৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় ব্ল্যাক বক্স। যদিও এগুলোকে ‘ব্ল্যাক’ বলা হয়, আসলে যন্ত্র দুটি উজ্জ্বল কমলা রঙের, যাতে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও সহজে শনাক্ত করা যায়। CVR-এ সাধারণত ককপিটে চালকদের আলোচনার রেকর্ড, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কথোপকথন এবং জরুরি এলার্মের শব্দ সংরক্ষিত থাকে। তবে AI171 বিমানটি ২০১৪ সালের মডেল হওয়ায়, এতে মাত্র দুই ঘণ্টার রেকর্ডিং সক্ষমতা ছিল। অন্যদিকে, FDR বিমানের উচ্চতা, গতি, দিক পরিবর্তন, কন্ট্রোল ব্যবস্থার অবস্থা সহ হাজারো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ড করে, যা বিমানটির শেষ মুহূর্তগুলোর গতি ও আচরণ বিশ্লেষণে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন- Mamata Banerjee condemns Akshay Kumar’s Kesari Chapter 2: ‘লজ্জা করে না বাঙালি বিপ্লবীদের অসম্মান করতে?’, অক্ষয়ের ছবিকে তুলোধোনা মমতার! দায়ের FIR…

নতুন প্রযুক্তি চালু, তবুও বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন

এর আগে ৯ এপ্রিল, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু নয়াদিল্লির উদান ভবনে AAIB-এর অধীনে একটি অত্যাধুনিক ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণাগার (DFDR ও CVR ল্যাব) উদ্বোধন করেন। ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ল্যাব ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ‘ব্ল্যাক বক্স ল্যাব’ হিসেবে কাজ শুরু করে। তবুও, AI171 দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে যন্ত্রাংশের ক্ষতির কারণে সম্পূর্ণ তথ্য উদ্ধার করতে না পারায় তা বিদেশে পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

তদন্তে কী জানা যাচ্ছে

প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, বিমানের ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার শেষ মুহূর্তে জরুরি বার্তা পাঠালেও বিমানটি মাত্র ৬০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পেরেছিল। কেন এটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাল, তা জানতে CVR ও FDR-এর তথ্য বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটি, ওভারলোড, মানবিক ভুল নাকি অন্য কোনও কারণ—তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link