জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘ইসলামোফোবিক’ (Islamophobic)। মানে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইসলাম বা মুসলিমদের অপছন্দ করা। অন্তত তেমন ভাবেই বিষয়টিকে দেখছে সুইডেন। তারা বলেছে, তারা বিষয়টির গুরুতব বুঝেছে। সম্প্রতি স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে এক ব্যক্তি কোরান পুড়িয়েছেন। এই কাজকে অনুমোদন করেনি সুইডিশ সরকার, শুধু তাই নয়, তারা কাজটিক ইসলামের প্রতি আতঙ্ক হিসেবে দাগিয়ে বলেছে, সুইডেনের সরকার কখনওই এই মনোভাব পোষণ করে না।
আরও পড়ুন: Incredible Image of Saturn: শনিতে নতুন কী দেখে চমকে উঠলেন মহাকাশবিদেরা?
কোরান পোড়ানোর ঘটনার পরে সুইডেনের অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এই ধরনের কাজ ভবিষ্যতে যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে সুইডেন সরকারকে। তখনই সরকার তার মত প্রকাশ করে। সুইডিশ সরকার পরিষ্কার স্বীকার করে নিয়েছে, বিষয়টি মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে।
ঘটনার সূত্রে সুইডেনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা এই ধরনের কাজের নিন্দা করে। কোরান বা অন্য কোনও ধরনের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো বা তার অসম্মান সরাসরি উত্তেজনা ছড়ানোর মতো কাজের মধ্যেই পড়ে। ইউরোপে তথা সুইডেনে জাতিবিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতার কোনও স্থান নেই।
আরও পড়ুন: Ukrainian Writer Dies: শোকার্ত শিল্পীসমাজ! রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু তরুণ ইউক্রেনীয় লেখকের…
তবে এর পাশাপাশি সুইডেনের বিদেশ মন্ত্রক মত প্রকাশের স্বাধীনতাকেও স্বীকার করে নিয়েছে। কোথাও একজোট হওয়া, কোনও বিষয়ে মত প্রকাশ করার অধিকার বিষয়েও তারা সমান সচেতন।