সেলিম রেজা, ঢাকা: বদলের বাংলাদেশে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশার ঘনত্বও বাড়ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মাঝরাত এবং ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ছে। ফলে সকাল থেকে ঢাকা হয়ে উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত পুরো এলাকাই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে আছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি বিভাগের বিভিন্ন এলাকার তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। শৈত্যপ্রবাহ না হলেও তাপমাত্রা এর কাছাকাছি নামতে পারে। আজ কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় এর প্রভাব কমলেও উত্তরাঞ্চলে দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, রাতে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৩ দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ-সহ সারা বাংলাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ের মধ্যে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাংশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা বাংলাদেশের রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:Andhra Pradesh: বছর বারোর আদুরে মেয়ে বর্বরের লালসার শিকার! বিদেশ থেকে ছুটে এসে বাবা দিলেন ‘ন্যায়’…
ভোরেই হালকা কুয়াশা ভেদ করে দেখা গিয়েছে সূর্য। গত দিনের তুলনায় ঘন কুয়াশা না থাকলেও কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষ। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরেছে বরফ শিশির। শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে কাজে বেরিয়ে পড়েছেন দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, কৃষক থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ। এদিকে গতকাল রাতে শীতের কারণে বাংলাদেশের হাটবাজারগুলিতে মানুষের উপস্থিতি কমে যেতে দেখা যায়। কাগজের কাটন, শুকনো কাঠখড়ি জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। ঢাকার বাসিন্দারা জানান, রাতে মনে হয়েছে তাপমাত্রা জিরোতে নেমে এসেছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হাড় পর্যন্ত কেঁপেছে। সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। একইসঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে।
এদিকে এবার বাংলাদেশের হাটবাজারের ফুটপাতে সেভাবে গড়ে ওঠেনি পুরোনো কাপড়ের দোকান। কাপড়ের যে দোকানগুলো বসেছে তাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। অনেকে সাধ্যমতো কিনতে পারলেও বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ কিনতে পারছে না শীতের কাপড়। এবার এখনো সেভাবে সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ চোখে পড়েনি। শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগব্যাধি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:Dilip Ghosh on Bangladesh: ‘সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয়না’! বাংলাদেশকে চাঁচাছোলা আক্রমণ দিলীপের…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)