জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাত্র ৩৪ বছরেই চরম সিদ্ধান্ত। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা অতুল সুভাষ। কর্মসূত্রে থাকতেন বেঙ্গালুরুতে, সেখানের বাড়ি থেকেই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অতুল এক প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন। এবং তাঁর মৃতদেহ কাছ থেকে ২৪ পাতার সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। সেখানে তিনি তাঁর স্ত্রী এবং স্ত্রীর আত্মীয়দের দ্বারা হওয়া হয়রানির অভিযোগ কথা লিখে গিয়েছেন।
২৪ পাতার সুইসাইড নোটের মধ্যে ৪পাতা হাতে লেখা এবং বাকি ২০ পাতা টাইপ করা। সেই নোটের শুরুতেই লেখা, ‘জাস্টিস ইজ ডিউ’ মানে বিচার এখনও বাকি আছে। সেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে নিজের স্ত্রীকে দোষারোপ করেছেন। বাড়িতে হওয়া প্রতিদিনের ঝগড়া-ঝামেলার জন্য নিজের শাশুড়ি, শালা এবং স্ত্রীর এক কাকার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই নোটে তিনি তাঁর চার বছরের নিষ্পাপ ছেলের কথাও উল্লেখ করেছেন।
ছেলের সম্বন্ধ্যে তিনি লিখেছেন যে তাঁকে কীভাবে স্ত্রী টাকা আদায় করার জন্য ব্যবহার করত। তিনি লেখেন, ‘বাচ্চাদের প্রতি আমাদের আবেগ এবং ভালবাসা এভাবে অপবিত্র হতে পারে না এবং তারা একজন পুরুষ থেকে একজন মহিলার কাছে টাকা ট্রান্সফার করার (বা তথাকথিত সামাজিক ন্যায়বিচার) হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে না।’ অতুল আত্মহত্যার করার আগে এই সুইসাইড নোটটি একাধিক জনকে ইমেল এবং মেসেজের মাধ্যমে পাঠায়।
এমনকি মৃত্যুর আগে অতুল চার মিনিটের একটি ভিডিয়ো করেন। যেখানে তিনি তাঁর সঙ্গে হওয়া মানসিক অত্যাচারের কথা বলেন। এবং তিনি তাঁর এবং তাঁর বয়স্ক বাবা-মায়ের জন্য় বিচারের দাবি জানায়। এরই সঙ্গে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর শেষ ইচ্ছাগুলিও বলেন। তিনি বলেছেন যে, যতদিন না পর্যন্ত অভিযুক্তরা শাস্তি পাচ্ছে, তাঁর অস্থি যেন না ভাসানো হয়। এবং তিনি এ-ও জানান যে, যদি তিনি বিচার না পান তাহলে তাঁর অস্থি যেন কোর্টের বাইরে নর্দমাতে যেন অস্থি ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
This was Atul Subhash
He left for Shiva’s abode
Watch it and marry carefully
pic.twitter.com/uKKgev85ej— Kreately.in (@KreatelyMedia) December 10, 2024
এরপরে অতুল অনুরোধ করেন তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের লোকেরা যেন তাঁর মৃতদেহ আশেপাশেও না থাকে। মৃত্যুর পর তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা করারও আহ্বান জানান তিনি। তিনি তার পরিবারের সদস্যদেরও অনুরোধ করেছিলেন যে কোনও ক্যামেরা বা সাক্ষাতের প্রমাণ ছাড়া তার স্ত্রী বা তার পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা করবেন না। ঘটনাটি ঘটেছে মারাঠাহল্লি থানার সীমানার অন্তর্গত মঞ্জুনাথ লেআউট এলাকায়।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অতুল বেশ কিছুদিন ধরে ধরে দাম্পত্য কলহে জর্জরিত ছিলেন। এমনকি তাঁর স্ত্রী উত্তরপ্রদেশে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বলে অভিযোগ। যার ফলে তিনি আরও বেশি অবসাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বেঙ্গালুরু পুলিস বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন যে, অতুলের পরিবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করলেই একটি মামলা দায়ের করা হবে। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে অভিযোগ ও পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ…
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)