জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দাসপ্রথার অন্ধকার ছায়া কি আজও লুটিয়ে আছে সভ্যতার আঙিনায়? না হলে কেন ফিরে ফিরে উঠবে এর প্রসঙ্গ? যেমন উঠল নেদারল্য়ান্ডসে। দাসপ্রথার সঙ্গে নিজের দেশের অতীত সংযোগের কারণে ক্ষমা চাইলেন নেদারল্য়ান্ডসের রাজা।
আরও পড়ুন: France: ‘যোগীকে পাঠান, উনি ১ মিনিটে ঠান্ডা করে দেবেন জ্বলন্ত ফ্রান্স’! কে বললেন এ কথা, কেন?
একটা সময় ছিল যখন ইউরোপের দেশগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজেদের ঔপনিবেশিকতা কায়েম করেছিল। ভারতও শিকার হয়েছিল সেই শোষণের। এই সব এলাকা দখলের পাশাপাশি সেখানকার অধিবাসীদের দাস বানাত ইউরোপের দেশগুলি। দাসপ্রথা দীর্ঘ দিন ধরে চালু ছিল ইউরোপে। আমেরিকাতেও। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রথা অবলুপ্ত হয়েছে। নেদারল্যান্ডসেও এই প্রথার বিলুপ্তি হয়েছে ১৬০ বছর আগে। তবে আজও এজন্য লজ্জায় কুঁকড়ে যায় দেশটি। এ রকম অমানবিক এক প্রথার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ডাচ কিং উইলিয়েম আলেক্সজান্ডার।
মর্মস্পর্শী এক বক্তৃতায় নেদারল্যান্ডসের রাজা বলেন– আজ আমরা স্মরণ করছি দাসপ্রথার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসকে। মানবতার বিরুদ্ধে কৃত এই অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইছি আমরা!
আরও পড়ুন: Singapore: ৪৭৬! গত ২০ বছরে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার খবরে শিউরে উঠছে দেশ…
আমস্টারডামের অস্টারপার্কে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে দাসপ্রথার বিলুপ্তির বিষয়টি ঘোষণা করেন রাজা। এশিয়া-সহ ঔপনিবেশিকতার সময়ে দাসপ্রথার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন ডাচ রাজা। এর আগে ২০২০ সালে মাত্রাতিরিক্ত হিংসার জন্য ইন্দোনেশিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। দাসপ্রথার বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ক্ষমা চেয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট্টে’ও।