জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়েজ হোস্টেলের বারন্দা থেকে পড়ে মারা গিয়েছিল যাদবপুরের বাংলা বিভাগের এক পড়ুয়া। মৃত্যুর নেপথ্যে মূল কারণ র্যাগিং। এইভাবেই বহু পড়ুয়া র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে নিজেদের প্রাণ হারাচ্ছে। খালি হচ্ছে বাবা-মায়ের কোল। কিন্তু তারপরেও কতটা তৎপর প্রশাসন। সেই প্রশ্ন এখনও থেকে গিয়েছে। ফের র্যাগিংয়ের শিকার হতে হল ১৮ বছরের একটি ডাক্তারি পড়ুয়াকে।
আরও পড়ুন: Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর, ভাঙচুর স্কুল-বাড়ি! রাত থেকে যৌথ বাহিনীর টহলদারি…
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের পাটান জেলার একটি মেডিক্যাল কলেজে। পুলিস সূত্রে জানা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড় করিয়ে রেখেছিল কলেজরই সিনিয়াররা। তার ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সিনিয়র দাদারা জুনিয়রদের পরিচয় পর্ব নিচ্ছিল। কিন্তু এর আড়ালেই চলছিল র্যাগিং। ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে অজ্ঞান হয়ে যান ওই পড়ুয়া। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যায় কী কী নির্যাতন হয়েছিল পড়ুয়ার উপর। রবিবার কলেজ কর্তৃপক্ষ মৃত ওই পড়ুয়ার বাড়িতে ফোন করে জানায়। যদিও গোটা ঘটনার একদিনের মধ্যে গোটা ঘটনার পেছনে ১৫ জন সিনিয়র পড়ুয়াকে সনাক্ত করা হয়েছে। পুলিস তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। সোমবার সকালে বালিসানা পুলিস থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তারপরই ১৫ জন সিনিয়র পড়ুয়াকে সনাক্ত করে কলেজের অ্যান্টি র্যাগিং সেল। ডিন ডা: হার্দিক শাহ তিনি জানান, মূলত দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারাই এই সমস্ত বিষয়ে জড়িয়ে রয়েছে। ওরাই ৩ ঘণ্টা ধরে প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াটিকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)