জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সব প্রার্থীই ফেল। পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনজন। কেউই পাস করতে পারেননি। এনিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণপাড়া উফজেলার শিক্ষা আধিকারিক আজহারুল ইসলাম। সম্প্রতি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মডেল স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয়। তাতেই ওই ফল।
আরও পড়ুন- ডাক্তারিতে ভর্তির দায়িত্ব রাজ্যের হাতে ছাড়ুন, বাতিল করুন নিট, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজহারুল ইসলাম লিখেছেন, সাধারণভাবে অফিসিয়াল প্রোফাইলে ব্যক্তিগত হতাশার কথা শেয়ার করি না। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা শেয়ার না করে পারছি না। উপজেলা পরিষদ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে একটি নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করি। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতার সমান মাপকাঠি রাখা হয়। ৯ আবেদনকারীর মধ্যে কাগজপত্র, বয়স বিবেচনায় আবেদন বাদ পড়ে ৩টা, বাকি ৬ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত হন তিনজন। এই তিনজনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের ৮০ মার্কসের লিখিত পরীক্ষা আর ২০ মার্কসের মৌখিক পরীক্ষা হবে। এই ৮০ মার্কস ছিল বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞানের ওপর।
আজহারুল ইসলাম লিখেছেন, যারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্য়ে দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ২.৫ এবং ৯। ভুল পড়েননি, ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্যান্ডিডেটদের প্রাপ্ত নম্বর এই ২.৫ আর ৯। বাকিজন এতোটা খারাপ না পেলেও পাস মার্ক পাননি। এটুকু পড়ে অনেকের চিন্তা আসতে পারে, প্রশ্ন নিশ্চয়ই অনেক কঠিন এসেছিল? তাদের জ্ঞাতার্থে-‘আকাশ কুসুম’ এই বাগধারার অর্থ পারেনি পরীক্ষার্থী কিংবা, ‘তার মা একজন গৃহিনী’ এই বাক্যের ইংরেজি বা ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ এই বাক্যেরও ইংরেজি পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে কয়েকটি শুদ্ধ বাক্য জানে না তারা।
আক্ষেপ করে আজহারুল লিখেছেন, এই হচ্ছে আমাদের দেশের শিক্ষার মান। প্রশ্ন ওঠে আমাদের দেশে এত বেকার কেন? আমার প্রশ্ন, দেশে এত নামধারী শিক্ষক কেন? মাস খানেক আগে উপজেলার একটি স্বনামধন্য মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন করেছিলাম “Write about yourself in ten sentences’। সাত পরীক্ষার্থীর যাদের শিক্ষক হিসেবে অভিজ্ঞতা ১০ বছর তাদের ছয়জন উত্তর ই করেনি। একজন করেছে, সে ৪-৫ টি বাক্য ইংরেজিতে শুদ্ধ লিখতে পেরেছেন। বলাই বাহুল্য সে পরীক্ষায় ও কেউ লিখিত পরীক্ষায় পাস করেনি। তার মানে এই অবস্থা নিয়ে তারা দশ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতাই করে যাচ্ছিল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)