জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নেদারল্যান্ডসে ত্বকের ক্যানসারের রোগী দিন-দিন বাড়ছে। সংখ্যাটা কমিয়ে আনতে অভিনব পরিকল্পনা করেছে এ দেশের সরকার। নেদারল্যান্ডস সরকারের পক্ষ থেকে সে দেশের জনগণকে বিনামূল্যে সানস্ক্রিন দেওয়া হবে।
হঠাৎ সানস্ক্রিন কেন?
আরও পড়ুন: Netherlands: বালিয়াড়ির চূড়ায় শুয়ে থাকুন, কিন্তু যৌনসুখের চূড়ায় উঠবেন না প্লিজ…
আসলে সরাসরি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। রোদের ক্ষতিকর দিকটাকে নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সানস্ক্রিনের ভাবনা। সানস্ক্রিন মেখে রোদে বেরোলে তা থেকে ক্যানসারের বিপদ অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সানস্ক্রিনকে এক্ষেত্রে কোনও ভাবেই তাই প্রসাধনী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। বরং ক্যানসারের কবল থেকে ত্বক রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে একে।
নেদারল্যান্ডসের সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের গ্রীষ্মেই এ দেশের সব স্কুল-কলেজ, পার্ক, খেলাধুলোর কেন্দ্র, উৎসবের ভ্যেনু– সর্বত্র পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে সানস্ক্রিন ক্রিম বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: Slovakia And Estonia: বহু মুসলিমের বাস, কিন্তু এলাকায় নেই একটিও মসজিদ! কেন জানেন?
নেদারল্যান্ডসের সরকার মনে করছে, নেদারল্যান্ডসের মানুষ সরাসরি সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষাপ্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চয়তা পেলে ভালো হয়। তাদের সেই সুরক্ষা দেওয়ার কথাই ভেবেছে সরকার। এই সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই বিনামূল্যে সানস্ক্রিন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। কেউ যদি টাকার অভাবে খরচ বাঁচানোর জন্যে সান ক্রিম ব্যবহার না করতে পারেন বা সাধারণ মানুষ যাতে অর্থনৈতিক কারণে এই সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
জানা গিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের এক চর্মরোগবিশেষজ্ঞ এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা প্রথম বলেছিলেন। করোনা অতিমারির সময়ে সাধারণ মানুষকে যেভাবে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছিল, ক্যানসার প্রতিরোধে তাঁদের সেইভাবেই সানস্ক্রিন দেওয়াও উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বলা হচ্ছে, একেবারে ছোটবেলা থেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার উচিত। শিশুরাও বিষয়টিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। সানস্ক্রিন ব্যবহার তাদের অভ্যাসে পরিণত হবে।
গত দুই দশক ধরে গোটা ইউরোপে ত্বকের ক্যানসার মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত মধ্য ইউরোপের যেসব দেশে গ্রীষ্মে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়, সেসব দেশে এই সমস্যা প্রকট। ত্বকের ক্যানসারের পিছনে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সরাসরি সংস্পর্শে আসাকেই দায়ী করে থাকেন চিকিৎসকেরা।