জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে দু’দিনের সফরে একাধিক কর্মসূচি নিয়ে এসেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সফরের শুরুতেই থাক্কা খেলেন রাহুল। বিজেপি শাসিত মণিপুরের পুলিস আটকাল রাহুলের কনভয়। বৃহস্পতিবার চূড়াচাঁদপুরে আসার পথেই পুলিস রাহুলের কনভয় রুখে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। তিনি জানিয়েছেন যে, ইম্ফল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুর এলাকায় রাহুলের কনভয় আটকানো হয়েছে। গোষ্ঠীহিংসায় জর্জরিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য। চূড়াচাঁদপুরের অবস্থা এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। এখানকার শরণার্থী শিবিরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলার জন্যই রাহুল যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁকে বাধা দেয় পুলিস। রাহুলকে বাধা দেওয়া নিয়ে, মোদি সরকারের একহাত নিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও জয়রাম রমেশেরা।
এদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এসেছেন রাহুল। এখান থেকেই তাঁর চূড়াচাঁদপুরে যাওয়ার কথা ছিল হেলিকপ্টারে। কিন্তু রাহুল সড়ক পথে যাবেন বলেই স্থির করেছিলেন। যদিও পুলিসের বক্তব্য যে, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতেই তারা রাহুলের কনভয় থামিয়েছে। পুলিসের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘আমরা এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় সতর্কতা হিসাবে, কনভয়কে বিষ্ণুপুরে থামতে অনুরোধ করেছি।’ রাহুলের কাছে সুযোগ থাকছে হেলিকপ্টারে করেই চূড়াচাঁদপুরে যাওয়ার। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল মণিপুরে এসেছেন মূলত দু’টি কাজে। ইম্ফল ও চূড়াচাঁদপুরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যেমন তিনি কথা বলবেন। পাশাপাশি এখানকার শরণার্থী শিবিরগুলিও পরিদর্শন করবেন তিনি। প্রায় ৫০ হাজার শরণার্থী ৩০০-র উপর শিবিরে থাকছেন।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: ‘মায়ের কথা শোনো না কেন? এবার বিয়ে করো’, রাহুলকে ধমক লালুর
বিগত দু’মাসের ওপর জ্বলছে মণিপুর। ট্যুইটারে ট্রেন্ডিং মণিপুর বার্নিং। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কার্যত নাজেহাল হচ্ছে মণিপুরে শান্তি ফেরাতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সেখানে গিয়ে ঘুরে এসেছেন। কিন্তু কোনও লাভের লাভ হয়নি। মণিপুরে হিংসা থামার কোনও লক্ষণ নেই। এখন দেখার রাহুল ঘুরে আসার পর কী হয় সেখানে! বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণের মুখে পড়ে অমিত শাহ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর রাহুলের মণিপুর সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।