এ কী! প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে নিজের তৈরি মূর্তি নিজেই চিনতে পারলেন না রামলালার ভাস্কর; অলৌকিক, দৈবী?।Ram Lalla idol get completely transformed after pran pratishtha ceremony according to its sculptor Arun Yogiraj

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র পরে নিজের তৈরি মূর্তি নিজেই চিনতে পারলেন না রামলালার বিখ্যাত ভাস্কর তথা মূর্তিশিল্পী কর্ণাটকের অরুণ যোগীরাজ। দু’সপ্তাহ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে অযোধ্যার রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার। কিন্তু এখনও যেন ঘোর কাটছে না। দেশ জুড়ে এখনও চলছে রামমন্দিরের প্রতি মুগ্ধতার রেশ।

আরও পড়ুন: কবে রটন্তী কালীপুজো, কখন অমাবস্যা? জেনে নিন, এ পুজোর বিশেষ রহস্য…

রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে বালক রামের মূর্তি। দেশ জুড়ে প্রশংসিত পূজিত বন্দিত এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। রামমন্দিরের সৌন্দর্য দেখে যেমন আপ্লুত ভক্তরা, তেমনই মূর্তিশিল্পীর নিপুণতা দেখেও মুগ্ধ তাঁরা। শ্যাম শিলা তথা কালো পাথর খোদাই করে রামের এমন স্বর্গীয় রূপসৌন্দর্য কীভাবে ফুটিয়ে তুললেন শিল্পী?

এ নিয়ে শিল্পী নিজে কী বলছেন? 

মূর্তিশিল্পী ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ পরে এক আশ্চর্য অলৌকিক দৈবী অভিজ্ঞতার কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রাণপ্রতিষ্ঠার কাজ মিটে গেলে নিজের তৈরি রামের মূর্তির দিকে তাকিয়ে তিনি নিজেই আশ্চর্য হয়ে যান! এ কি তাঁরই তৈরি মূর্তি? মূর্তির দিকে তাকিয়ে তিনি যেন চিনতে পারেন না তাঁর রামলালাকে। ৭ মাস ধরে পরিবারের থেকে দূরে থেকে একাগ্র ভাবে তিনি তৈরি করেছিলেন মূর্তিটি। সেই তিনি স্বীকার করেন, যখন মূর্তিটি তিনি তৈরি করছিলেন, তখন সেটা একরকম ছিল; কিন্তু পরে সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ ধারণ করে। সে মূর্তি তিনি আর চিনতে পারেন না!

অরুণ যোগীরাজ এর আগেও বলেছেন, রামের মূর্তি কেমন হবে, সে সম্পর্কে প্রথমে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না। কাজটি করতে-করতেই তিনি যেন ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে জন্ম দিচ্ছিলেন শ্রীরামের অবয়ব, ভাব, রূপ, সৌন্দর্য‌! একটা ইঙ্গিত অবশ্য দিয়েছিলেন অরুণ। তিনি জানিয়েছিলেন, গত বছর দীপাবলির সময় তিনি অযোধ্যায় গিয়েছিলেন। অযোধ্যায় সেই সময় কয়েকজন শিশুকে দেখেছিলেন তিনি। তখন ভিতর থেকে একটা অদ্ভুত ভাবনা যেন দিশা দেখায় তাঁকে। সেই শিশুদের মুখ দেখার পরই রামের মুখ সম্পর্কে তাঁর মনে যেন একটা ধারণা সেদিন তৈরি হয়ে গিয়েছিল!

যোগীরাজ আরও চিত্তাকর্ষক একটি তথ্যও জানিয়েছিলেন। সেটি হল রামলালার চোখ নির্মাণ নিয়ে। তিনি বলেন, রামলালার চোখ তৈরি করাটাই ছিল সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রামের ওই ভাবময়, করুণামাখা চোখ তিনি কীভাবে তৈরি করবেন? অরুণ জানিয়েছেন, মাত্র ২০ মিনিটই নাকি তাঁর হাতে ছিল। আসলে ওই ২০ মিনিটই ছিল শুভ সময়। তার মধ্যেই শ্রীরামের চক্ষুদান করতে হবে তাঁকে। আর সেদিন ঠিক সেটাই করতে পেরেছিলেন অরুণ। সে এক আশ্চর্য ঘটনা। অনেকটা অলৌকিকও। ওই ২০ মিনিটেই চোখ মেলেছিলেন রামলালা!

আরও পড়ুন: Ram Lalla: ‘রামলালা চোখ মেলেছিলেন মাত্র ২০ মিনিটে’! অলৌকিক অভিজ্ঞতা ভাস্কর অরুণের…

আসলে রামের মূর্তি তৈরি করার পুরো বিষয়টিই অরুণের কাছে ছিল আশ্চর্য অভিজ্ঞতাময়। যে কয়েকদিন ধরে অরুণ রামলালার মূর্তি তৈরি করেছিলেন, সেই কয়েকদিন রাতে তিনি টানা ঘুমোতে পারেননি। বারবার উঠে পড়তেন। তাঁর মনে হত, রামলালা যেন তাঁকে ডাকছেন! তিনি উঠে পড়তেন আর কাজ শুরু করে দিতেন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link