জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিঙ্গাপুরে গত বছরের তুলনায় আত্মহত্যার সংখ্যা ২৬ শতাংশ বেড়েছে, যা সেদেশের গত দুদশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করে এমন এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামারিটানস অব সিঙ্গাপুর (এসওএস) তাদের বার্ষিক রিপোর্টে এইসব তথ্য জানিয়েছে। বিশ্ব জুড়ে প্রতিবছর সাত লাখের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, গোটা বিশ্বেই ১৫-২৯ বছর বয়সী কিশোর-তরুণদের যেসব কারণে মৃত্যু ঘটে, এর মধ্যে চতুর্থ প্রধান কারণ হল আত্মহত্যা!
আরও পড়ুন: France: ‘যোগীকে পাঠান, উনি ১ মিনিটে ঠান্ডা করে দেবেন জ্বলন্ত ফ্রান্স’! কে বললেন এ কথা, কেন?
সামারিটানস অব সিঙ্গাপুরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ১০ থেকে ২৯ বছর বয়সী বালক-কিশোর ও তরুণের সংখ্যাই বেশি। বয়স্কদের মধ্যে ৭০-৭৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। তারা বলছে, সিঙ্গাপুরে ২০২২ সালে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ছিল ৪৭৬। ২০০০ সালের পর এই সংখ্যাটা সর্বোচ্চ। গত বছর সংখ্যাটা ছিল ৩৭৮। কেন সিঙ্গাপুরের মতো এত প্রাচুর্যপূর্ণ এই দেশে মানুষের এমন সংকট? বলা হচ্ছে, বিষয়টি সে দেশের অদৃশ্য মানসিক যন্ত্রণার প্রতিফলন।
জনৈক মনোরোগবিশেষজ্ঞ এবং মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা বলেন, আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটি সমাজে, বিশেষ করে তরুণ ও বয়স্করা কী পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণার শিকার, সেটাই তুলে ধরেছে!বলেন, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকিত্বের মতো বিষয়গুলি, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক চাপ তৈরি করে, এমন বিষয়গুলিতে আমাদের সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছে ১০ থেকে ২৯ বছর বয়সী বালক-কিশোর ও তরুণেরাই। এঁদের সংখ্যাটা মোট আত্মহত্যাকারীর ৩৩.৬ শতাংশ। ২০২২ সালে এই বয়সীদের আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১২৫, যা আগের বছর ছিল ১১২।
আরও পড়ুন: Kenya: বাসের উপর উঠে পড়ল ট্রাক! ভয়ংকর পথদুর্ঘটনায় মৃত ৪৮, দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে আছে বাস-বাইক…
সিঙ্গাপুরে জন্মহার অনেক কম। সেখানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চারজন সিঙ্গাপুরবাসীর মধ্যে একজনের বয়স ৬৫ বা তার বেশি হবে, যা তিন বছর আগে ছয়জনের মধ্যে একজন ছিল।