৪০ চিনা J-35 শয়তানের ঘরে! ফিফথ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটারে কেন পাক ঘুম ওড়াল ভারতের?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জবাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সেনার সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে এখনও চর্চা চলেছিল। ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করেই নিখুঁত লক্ষ্যে ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। ভারতের হয়ে অপারেশেনের নেতৃত্ব দিয়েছে রাফাল জেট (India’s Rafale)। ভারত রাফাল নিয়ে গর্ব করলেও, পাকিস্তানের অহংকার ছিল JF-17 Thunder জেএফ-১৭ থান্ডার মাল্টি-রোল কমব্যাট যুদ্ধ বিমান। যা পাকিস্তান ও চিনের যৌথ ভাবে তৈরি করা। তবে শয়তান দেশের থেকে যে খবর এসেছে, তা ভারতের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের বরাবরের বন্ধু চিন। একথা কে না জানে! এবার তারা পাকিস্তানকে দিচ্ছে ৪০টি শেনইয়াং জে-৩৫ পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান (J-35 Fifth Generation Stealth Fighter Jets)

আরও পড়ুন: চিনা অস্ত্র-সরঞ্জামই পাকভাণ্ডারে, JF-17 থেকে VT-4 হয়ে F-22P! দেখে নিন পুরো তালিকা
 
জে-৩৫ পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান

গতবছর নভেম্বরের কথা চিন তাদের দ্বিতীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জে-৩৫ বিশ্বের সামনে উন্মোচন করেছিল! যা দেখে অনেকেরই চক্ষু ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল। মাল্টিরোল মিশনের জন্য তৈরি জে-৩৫। টুইন-ইঞ্জিন বিশিষ্ট সিঙ্গল সিটার সুপারসনিক জেট এটি। উন্নত এভিওনিক্সের সমৃদ্ধ চিনা বিমানে রয়েছে একটি সক্রিয় ইলেকট্রনিকভাবে স্ক্যান করা অ্যারে, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল টার্গেটিং সিস্টেম এবং ইনফ্রারেড সার্চ-অ্যান্ড-ট্র্যাক। চিন সরকারের মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’ বলছে যে, বিশ্বের সবচেয়ে দামী যুদ্ধবিমান জে-৩৫! চিন তাদের এই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তুলনা করছে আমেরিকার লকহিড মার্টিন এফ-৩৫ -এর। জে-৩৫আকাশ প্রতিরক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তার স্টেলথ ও কাউন্টার স্টেলথ যুদ্ধ কাঠামোয়। পাকিস্তানের কাছে ২০টি চিনা জে-১০সি এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান রয়েছে, ইসলামাবাদ যে ৪০টি  জে-৩৫ কিনবে বলে জানা গিয়েছে, তার প্রথম ইউনিট চলতি বছরের শেষের দিকে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে, আমেরিকা-রাশিয়া ও চিনকে নিয়ে স্টেলথ ফাইটার জেটের এলিট ক্লাব। এবার এই তালিকায় পাকিস্তান নাম লেখাতে চলেছে। 

কেন ভারতের রক্তচাপ বাড়ল?

 
কারণ এখনও ভারতের কাছে কোনও স্টেলথ ফাইটার নেই। ইসলামাবাদ স্টেলথ ফাইটার কিনে ফেললে কিন্তু দিল্লিকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দেবে। জে-৩৫  ‘ব্ল্যাক বক্স’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ এর ক্ষমতা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নয়। অনেকে মনে করে যে, জে-৩৫-এর কর্মক্ষমতা আমেরিকার এফ-৩৫ এর মতোই নয়, এবং তার চেয়েও নাকি ভালো! কিন্তু জে-৩৫ কখনও যুদ্ধ করেনি। ফলে রণাঙ্গনে তার দক্ষতা প্রমাণিত নয়। জে-৩৫ এর আরেক নাম এফসি-৩১। ২০২৪ সালের অগাস্টে প্রথম ছবি সামনে এসেছিল।  জে-৩৫-এর দু’টি সংস্করণ- একটি নৌবাহিনীর জন্য এবং অন্যটি প্রচলিত স্থল-ভিত্তিক অভিযান এবং রফতানির জন্য। পাকিস্তান সম্ভবত দ্বিতীয়টি পাবে। যে বিমানের নাকে রয়েছে ইনফ্রারেড সার্চ-অ্যান্ড-ট্র্যাক। চায়না ডেইলি জানিয়েছে, এই জেটটি অন্যান্য ‘শেয়ার টার্গেট’ পজিশন ভাগ করে নিতে পারে। যেমন ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, এবং অন্যান্য অস্ত্রকে টার্গেট করার জন্য এর রাডার ব্যবহার করতে পারে। জে-৩৫-এর বড় বৈশিষ্ট্য হল স্টেলথ ক্ষমতা। বিমানের রাডার ক্রস-সেকশন ০.০০১ স্কোয়ারমিটার, যা এফ-৩৫- এর সঙ্গে তুলনীয়, এবং ভারতের সঙ্গে ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কিন্তু অনেকটাই এগিয়ে রাখবে শয়তান দেশকে। কারণ এই যুদ্ধবিমান সনাক্ত করা ভীষণ কঠিন হয়ে যাবে। যার অর্থই হচ্ছে সীমান্তের কাছে আসা পাক জেটগুলি সনাক্ত করতে ভারতের আরও বেশি সময় লাগবে। যার অর্থ দিল্লিকে বিদ্যমান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আপগ্রেড করে শুরু করতে হবে এবং যেভাবেই হোক পঞ্চম প্রজন্মের জেট আনতে হবে। ভারতের কাছে পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার নেই। এটি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট প্রোগ্রামের অধীনে এই ‘এক্সিকিউশন মডেল’ গত মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অনুমোদন করেছেন। তবে এএমসিএ জেটটি অন্তত ২০৩৫ সালের আগে ভারতের আকাশে উড়বে না। তাহলে ভারতকে পাকিস্তান ১০ বছর পিছিয়ে দিল

আরও পড়ুন: রাফাল বনাম এফ-সিক্সটিন; এগিয়ে কোন দেশের যুদ্ধবিমান? বিভ্রান্ত না-হয়ে জানুন বিশদে…

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

 

 

 

 

Source link