জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২৪ লোকসভার (Loksabha Election 2024) লক্ষ্যে পটনায় বিরোধীরা সংবদ্ধ হয়ে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বিরোধিতায় ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ তৈরির চেষ্টায় ব্যস্ত। ১৫টির বেশি বিরোধী দলের একেবারে শীর্ষস্থানীয় নেতাকে এক ছাতার তলায় এনেছেন নীতীশ কুমার। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা (Mamata Banerjee) একসুরে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করার বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু বিজেপি বলছে এসবই অর্থহীন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলছেন, ‘যতই হাত মেলান না কেন, বিরোধীদের একতা সম্ভব নয়।’
অমিত শাহ এই মুহূর্তে জম্মুতে। সেখানে থেকেই বিরোধীদের এই জোট নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, “পাটনয় একটা ফটো সেশন হচ্ছে! সব বিরোধী নেতারা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে বলছেন, তাঁরা নাকি মোদীজিকে চ্যালেঞ্জ করবেন।” এখানেই থেমে না থেকে তাঁর কটাক্ষ, “যতই হাত মেলান। আপনাদের একতা সম্ভব নয়। আর যদি সবাই এক হয়েও যান, তাতেও লাভ হবে না। ২০২৪ সালে গোটা ভারত মোদীজিকে ফের জেতানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।” অমিত শাহ এদিন আরও একবার দাবি করেছেন, ২৪-এর লোকসভায় ৩০০-র বেশি আসন পাবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Opposition Meet In Patna: একমঞ্চে রাহুল-ইয়েচুরি-মমতা, বিজেপিকে রুখতে তৈরি ১৭ দলের বিরোধী জোট
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘একসঙ্গে লড়ব’, পটনায় বিরোধীদের জোট-বৈঠকেও মমতার নিশানায় রাজভবন
তবে অমিত শাহ একা নন, বিজেপির প্রায় সর্বস্তরের নেতা একযোগে বিরোধীদের এই বৈঠককে কটাক্ষ শুরু করেছেন। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা যেমন বলছেন, “ইন্দিরা গান্ধী একবার লালুপ্রসাদ যাদব এবং নীতীশ কুমারকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। তাঁরাই আবার রাহুল গান্ধীকে কী বলে স্বাগত জানাচ্ছেন? বুঝতে পারছি না, রাজনীতিটা কোথায় যাচ্ছে!” সাংবাদিক বৈঠক করে স্মৃতি ইরানি আবার আলাদা করে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলছেন, “একটা সময় পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র অপমান করেছিল। এরপরেও সিপিএম ও তৃণমূলের জোট হবে! আর কংগ্রেসকে ধন্যবাদ, এটা মেনে নেওয়ার জন্য যে তাঁরা একা বিজেপিকে হারাতে পারবে না।”
বস্তুত বিরোধীদের এই সম্মিলিত মঞ্চ বিজেপির জন্য যে কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ সেটা মেনে নিচ্ছে বিজেপির একটা অংশও। কোনওভাবে যদি গোটা বিরোধী শিবির একত্রিত হয়ে একটি ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচি তৈরি করে ফেলে, তাহলে সেটা ২০২৪ নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে ভাল চাপে ফেলে দিতে পারে। তবে বিজেপির আশা, যে এত ভিন্ন মতের রাজনৈতিক দলের একসঙ্গে আসা সম্ভব নয়।