২২ জন ভুয়ো কর্মীকে নিয়ে ৮ বছরে ১৮ কোটি পকেটে! শিল্পের পর্যায়ে জালিয়াতি HR কর্তার

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জালিয়াতিকে প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেলেন এক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক ওরফে এইচআর ম্যানেজার! এক-দুই নয়, ২২ জন ভুয়ো কর্মী জুটিয়ে ৮ বছর ধরে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে শাংহাইয়ের এক শ্রম পরিষেবা সংস্থায়। অভিযুক্ত এইচআর ম্যানেজারের নাম ইয়াং। এক প্রযুক্তি সংস্থার নিযুক্ত কর্মীদের বেতন ব্যবস্থাপনার দায়ভার ছিল ইয়াংয়ের কাঁধে।

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখতে ফলো করুন Google News

ইয়াং একদিন খেয়াল করে দেখলেন যে কর্মী নিয়োগের উপর তাঁরই একক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে! কোনও বেতন পর্যালোচনা প্রক্রিয়া নেই। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, তিনি প্রথমে সান নামে একট কাল্পনিক কর্মচারী তৈরি করেন এবং সেই নামে বেতন দেওয়ার  ব্যবস্থা করেন। বেতন সানের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর পরিবর্তে, ইয়াং তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ব্যাংক কার্ডে টাকা পাঠাতেন, যদিও তার নামে নিবন্ধিত ছিল না।

যখন শ্রম পরিষেবা সংস্থা লক্ষ্য করে যে, ভুয়ো কর্মী সান তার বেতন পায়নি, তখন ইয়াং মিথ্যা দাবি করেন যে, প্রযুক্তি সংস্থাটি বেতন দিতে দেরি করছে। পরবর্তী ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত এই ভাবে ২২ জন ভুয়ো কর্মচারীর তৈরি করে তাদের নামে পাঠানো বেতন পকেটে ঢোকাতে শুরু করে ছিলেন। ভুয়ো কর্মচারীদের সঠিক বেতনের পরিমাণও প্রকাশ করেননি!

২০২২ সালে এই কেলেঙ্কারির সামনে আসে যখন প্রযুক্তি সংস্থাটির ফিনান্স ডিপার্টমেন্ট খেয়াল করে যে, সানের উপস্থিতি একেবারে পারফেক্ট এবং সে সময়মতোই বেতন পাচ্ছে, তবুও কেউ তাকে কখনও কাজ করতে দেখেনি। কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়, যার ফলে বেতন রেকর্ড এবং ব্যাংক লেনদেনের তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে ইয়াংয়ের জালিয়াতি সামনে চলে আসে। 

১৮ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে ইয়াংকে ১০ বছর দু’মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁর রাজনৈতিক অধিকারও এক বছরের জন্য কেড়ে নেওয়া হয় এবং জরিমানা করা হয়। এছাড়াও, তাঁকে চুরি যাওয়া তহবিলের ১.১ মিলিয়ন ইউয়ান (১.২ কোটি) ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, এবং তাঁর পরিবারকে আরও ১.২ মিলিয়ন ইউয়ান (১.৩ কোটি) ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত মার্চে চিনা মিডিয়ায় প্রকাশিত এই মামলাটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

চিনে পদের অপব্যবহারের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। গত বছরের ডিসেম্বরে, সাংহাইয়ের এক মহিলা তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের পর একটি বারে পুরুষ মডেলদের নিয়োগের জন্য সরকারি তহবিলের ৪.৫ মিলিয়ন ইউয়ান (৫ কোটি টাকা) ব্যবহার করেছিলেন।  আরও এক ঘটনার কথা বলতে হবে। শাংহাইয়ের এক হিসাবরক্ষক তাঁর নয় বছর বয়সী ছেলেকে নির্মাণ ঠিকাদার হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং সন্তানের নামে ২২ মিলিয়ন ইউয়ান (২৫ কোটি) বেতন আত্মসাৎ করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ক্রাচের ভরে ওয়াকিং বুটে হাঁটা! তাও অটুট দায়বদ্ধতার ‘দ্য ওয়াল’! সাধে কী আর দ্রাবিড়

আরও পড়ুন:  ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলবেন রোহিত? এই একজনের উপরই সব! সব প্রশ্নের উত্তর জানুন সবার আগে…

 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link