‘হারায়ে খুঁজি’! দিল্লি-কলকাতা জুড়ে দিনভর কেউ হারালেন পথ, কেউ হারালেন ফোন, কেউ টাকা…।TMC led by Abhishek Banerjee to protest in Delhi today against MNREGA Fund Scheme where huge disruptions loss of phone shoes

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এ কী হল? কেউ হারালেন পথ, কেউ হারালেন ফোন, কেউ হারালেন জুতো, কেউ হারালেন মানিব্যাগ! দিনভর দিল্লি-কলকাতা জুড়ে শুধু হারানোর খবর। মনও কি হারাল কারও? আপাতত তেমন খবর নেই। একটি বিখ্যাত বাংলা গানে ছিল–‘মন হারালো হারালো মন হারালো’! এ গান আপাতত বন্ধ রেখে বরং আর একটি বিখ্যাত বাংলা গানের কথাই সম্ভবত এই মুহূর্তে সব ভুক্তভোগী নেতানেত্রীর মনে–‘হারায়ে খুঁজি’! তবে কারও মনে এই সুরটিও গুনগুনিয়ে উঠতে পারে–‘পথ হারাব বলেই এবার পথে নেমেছি’! 

আরও পড়ুন: শুধু গান্ধী নন, ২ অক্টোবর এই মহাপুরুষেরও জন্মদিন! এই বাঙালি মনীষীকে দেশ কি একেবারেই ভুলেছে?

কিন্তু সত্যাগ্রহে এ কী বিপর্যয়? কেউ হারাচ্ছেন পথ, কেউ হারাচ্ছেন ফোন, কেউ আবার জুতো! কারও কারও মনে প্রশ্ন উঠছে, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কেন এভাবে ‘ঘেঁটে ঘ’? মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে মহাত্মা গান্ধী নামাঙ্কিত একটি প্রকল্পকে সামনে রেখে দিল্লিতে তৃণমূল তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রতিবাদ জানানোর কথা বলেছিলেন, সেটার মধ্যে স্বাভাবিক রাজনৈতিক সক্রিয়তা ছাড়া আর কীসেরই-বা ছায়া থাকতে পারে? এমন তো হয়েই থাকে। গণতন্ত্রে এটাই দস্তুর।    

রাজ্যের বকেয়া আদায়ে আজ, সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতারা দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ও ‘বঞ্চিতদের’ নিয়ে সত্যাগ্রহে সামিল হয়েছিলেন। সোমবার দুপুর নাগাদ রাজঘাটে পৌঁছন অভিষেক। সত্যাগ্রহ শুরুর আগে রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে সেখানে সত্যাগ্রহ শুরু হয়। তাঁরা জানিয়েছিলেন, অবস্থান চলবে বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত। তবে চারদিকে মোতায়েন বিপুল সংখ্যক পুলিস দেখে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এত পুলিস কেন! ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, হাজার হাজার পুলিস এখানে। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সত্যাগ্রহ করতে এসেছি। সত্যাগ্রহের মাঝেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে এলাকা খালি করে দিতে বলে পুলিস। তখনই বেরিয়ে আসেন তৃণমূল নেতারা। তবে তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকা খালি করার জন্য তাদের উপরে জোর করা হয়। সেই অবস্থান-চত্বরে পরে যা ঘটল, তাকে নিছক হাস্যরসের উৎস বললে বোধ হয় ভুল হয় না। কেননা, এরপর সেখানে শুধু হারানোরই গল্প। সেই হুড়োহুড়িতে মোবাইল হারালেন সাংসদ শান্তনু সেন এবং সাংসদ শতাব্দী রায়। জুতো হারালেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এমনকি শোনা যাচ্ছে, পথও হারালেন এক বিধায়ক, উত্তর দিনাজপুরের গোলাম রাব্বানি! 

এদিকে কলকাতায় বিজেপি’র মহিলা মোর্চার মিছিলে দুই বিজেপি বিধায়কের মানিব্যাগ খোওয়া গেল। জানা গিয়েছে, অনুপ সাহা ও আশিস বিশ্বাসের মনিব্যাগ খোওয়া গিয়েছে। তাঁরা এ নিয়ে পুলিসেরও দ্বারস্থ হন। 

আরও পড়ুন: Mahatma Gandhi’s 154th Birth Anniversary: ‘বিশ্ব অহিংসা দিবস’! ২০০৭ সাল থেকে গান্ধীজয়ন্তী দিনটির বিরাট কী পরিবর্তন ঘটল?

সে-যাই হোক, অনেকেই হয়তো ছোটবেলায় বাংলা বইতে পড়া ‘গরু হারানো’ বা ‘ঘটি হারানো’র মতো ‘কয়েনেজ’ মনে করতে পারেন। এই সব বাংলা বাগধারার মধ্যে এক ধরনের নির্মল মজা অনুনাদিত হয়। কারও প্রতি কোনও আক্রোশ নয়, নিছক মজার সুরেই শব্দবন্ধগুলি ব্যবহার করা হয়। বহুদিন পরে, দলমতনির্বিশেষে বাংলা তথা দিল্লির রাজনৈতিক আসরে নেতানেত্রীদের দিকে তাকিয়ে এমন শব্দ ব্যবহার করার সুযোগ হল বলে মনে করছেন একদল রাজনীতি-প্রেমী মানুষ। এমন মজার আবহ রোজ রোজ তৈরি হয় না! হয় কি? 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল) 

Source link