জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রাউন, ডোয়ার্ফ, গ্রহ ও নক্ষত্রের মাঝামাঝি এক মহাজাগতিক বস্তু। যদিও গ্রহের মতোই একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে সে। আর তার উত্তাপও সাংঘাতিক! সূর্যপৃষ্ঠের থেকেও বহু গুণ বেশি! বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড আসলে রহস্যেরই আধার। এই নতুন বস্তুটিকে ঘিরে আর একটি নতুন রহস্যের সূত্রপাত হল। প্রায় ১৪০০ আলোকবর্ষ দূরের এই মহাজাগতিক বস্তুটিকে চাক্ষুষ করে বিস্মিত হতচকিত বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: Salman Rushdie: অদম্য জীবনীশক্তি, সাহস ও সৃজনশীলতার জন্য জার্মান বুক ট্রেড পুরস্কারে ভূষিত রুশদি…
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বস্তুটির সঙ্গে তার নক্ষত্রের দূরত্ব খুব কম। তার কক্ষপথ তারার এত কাছে যে, এর উত্তাপ ৮০০০ কেলভিন অর্থাৎ ৭৭২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি! এতটাই গরম যে, এর অণুগুলি স্থির অবস্থায় থাকতে পারে না, ভেঙে ছড়িয়ে যায় চারিদিকে। সৌরপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৫৭৮৮ কেলভিন। বিজ্ঞানীদের মতে, নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণকারী এত উত্তপ্ত গ্রহের খোঁজ আগে কখনও মেলেনি!
এই অনুসন্ধানপর্বের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইজরায়েলের ওয়েজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নামা হালাকোন। তিনি মহাজাগতিক বস্তুটির নাম দিয়েছেন ডব্লিউডি০০৩২-৩১৭বি। এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হতে চলেছে নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে।
আরও পড়ুন: Himalayan Glaciers: ধেয়ে আসছে ভয়ংকর প্লাবন! দ্রুত গতিতে গলছে হিমালয়ের হিমবাহ…
বিজ্ঞানীদের দলটি জানিয়েছে, এই আবিষ্কারের সূত্রে বৃহস্পতির মতো দৈত্যাকার উত্তপ্ত গ্যাসীয় পিণ্ডকে বোঝা সম্ভব হবে। প্রকাণ্ড নক্ষত্রের চরিত্র বিশ্লেষণ করা যাবে। যেসব গ্রহ তাদের নক্ষত্রকে একেবারে কাছে থেকে প্রদক্ষিণ করে, তাদের প্রবল অতিবেগুনি রশ্মির সম্মুখীন হতে হয়। এর জেরে এ ধরনের গ্রহের বায়ুমণ্ডলের বাষ্পীভূত হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। মানে, অণুগুলি স্থায়ী হতে পারে না, ভেঙে যায়। এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশ সম্পর্কে স্বল্প তথ্যই এখনও পর্যন্ত সংগ্রহ করা গিয়েছে।