জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানের এক টিভি সাংবাদিকের ইদের খবর করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল ইন্টারনেটে। সলমান খানের একটি ছবিতে হুবহু সেই দৃশ্য তুলে ধরেছিলেন নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ফুঁসছে করাচি উপকূলে। উত্তাল হচ্ছে আরব সাগরের ঢেউ। সেই ঢেউের মধ্যে ঝড়ের পরিস্থিত বোঝাতে নাটকীয় কাণ্ড করে বসলেন এক পাক ‘সাংবাদিক’।
আরও পড়ুন-নিউ জলপাইগুড়িতে লাইনচ্যুত ট্রেন, বিপাকে ডুয়ার্সের যাত্রীরা
করাচি উপকূলে আবহাওয়ার সেই লাইভ রিপোর্টিং করতে গিয়ে নাটকীয় কাণ্ড করে বসলেন ওই সাংবাদিক। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ওই সাংবাদিক বলতে শুরু করলেন, ‘সমুদ্রের জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সমুদ্রের গভীরতা এখন অনেকটাই। দেখতে পাচ্ছেন নৌকোগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে। ওদের রোজগার বন্ধ। এখন আমি জলে ঝাঁপ দিয়ে দেখাব জলের গভীরতা কেমন।’ এইসব বলেই জলে ঝাঁপ দিলেন ওই সাংবাদিক। জলে ডুবে ফের বলতে শুরু করলেন। প্রবল ঢেউ দেখতে পাচ্ছেন। যে চ্যানেলের ওই সাংবাদিক রিপোর্টিং করতে গিয়েছিলেন সেটি হল আব্দুর রহমান নিউজ। সাংবাদিকের নামও আব্দুর রহমান খান। ক্যামেরাম্যান তৈমুর খান। প্রসঙ্গত, জানা যায়নি ওই আব্দুর রহমান আদৌ কোনও পেশাদার রিপোর্টার কিনা। ভিডিয়োটি ভাইরাল পোস্ট করা হয়েছে নাইলা ইনায়েত নামে একজনের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে।
Masterclass in weather reporting. pic.twitter.com/bedXuvcEaA
— Naila Inayat (@nailainayat) June 14, 2023
ভিডিয়োটি দেখেই অনেকের পাক সাংবাদিক চাঁদ নবাবের কথা মনে পড়েছে। ইদে মানুষের বাড়ি যাওয়ার রিপোর্ট করতে গিয়ে তিনি যে হাস্যকরভাবে রিপোর্টিং করছিলেন তা অনেকেই উল্লেখ্য করেছেন। স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজের সিঁড়িতে তিনি দাঁড়িয়ে রিপোর্টিং করেছেন আর তার সামনে বারবার চলে আসছেন যাত্রীরা। তাদের সরিয়ে ফের কথা বলতে শুরু করছেন চাঁদ নবাব। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঝড়ের রিপোর্টিংয়ের ওই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই মজার মন্তব্য করেছেন বহু নেটিজেন। কেউ লিখেছেন, সমস্যার একেবারে গভীরে গিয়ে রিপোর্টিং করেছেন। একেবারে বাহাদুর রিপোর্টার। কেউ লিখেছেন, একেবারে চাঁদ নবাব। একজন লিখেছেন, আরে এতো জলে ঝাঁপ দেওয়ার পরও মাইক্রোফোন কাজ করছে।