রাজীব চক্রবর্তী: মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী, কেরলের ৮ বারের সাংসদ কে সুরেশ। তাহলে কীভাবে ধ্বনি ভোটে স্পিকার নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা? লোকসভায় কেন ভোটাভুটি হল না? ভিন্নমত কংগ্রেস ও তৃণমূলের।
আরও পড়ুন: Om Birla Lok Sabha Speaker: ধ্বনি ভোটে জয়ী, দ্বিতীয়বারের জন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা!
ঘটনাটি ঠিক কী? সহমতে ভিত্তি নয়, বরং লোকসভার স্পিকার নির্বাচনে এবার ভোটাভুটির সম্ভাবনাই ছিল জোরালো। ওম বিড়লাকে স্পিকার পদে বসাতে চেয়েছিল শাসকজোট NDA। আর বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী ছিলেন কেরলের সাংসদ কে সুরেশ! রাহুল গান্ধী প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করার পর, মনোনয়ন জমা দেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত স্পিকার পদে ভোটাভুটি হল না।
ঘড়িতে তখন ১১টা। এদিন সকালে লোকসভায় স্পিকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী, তখন ভোটাভুটির দাবি জানাতে হত বিরোধীদের। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের তরফে সেই দাবি জানানো হয়নি। এরপরই ধ্বনি ভোটে স্পিকার নির্বাচিত হন রাজস্থানের কোটার ৩ বারের সাংসদ ওম বিড়লা। গত লোকসভায় স্পিকার ছিলেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘নিয়ম হচ্ছে লোকসভার কার্যপ্রণালী যদি দেখেন, একজন সদস্য় যদি ভোটাভুটি চায়। তাহলে অধ্যক্ষকে, এক্ষেত্রে প্রোটেম স্পিকার ভোটাভুটি পক্ষেই মত দিতে হয়। ইন্ডিয়া ব্লকের একাধিক প্রতিনিধি ভোটাভুটি চেয়েছে, এবং চাওয়ার পর ভোটাভূটি হয়নি। এটা স্পষ্টত প্রমাণ যে, বিজেপির কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এই যে সরকার চলছে, সেটা অবৈধ, অনৈতিক, অসংবিধানিক সরকার। এই সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা’।
Lok Sabha Speaker: মতানৈক্য দূর! স্পিকার পদের লড়াইয়ে কংগ্রেসের কে সুরেশকেই সমর্থন তৃণমূলের…
আর কংগ্রেস? দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, ‘আমরা ভোটাভুটি এই কারণেই চায়নি, আমি স্পষ্ট করে বলেছি, মনোনয়ন দেওয়াটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা কে সুরেশের নাম প্রস্তাব করলাম। প্রস্তাব এল যে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে তিনি স্পিকার হবেন। ধ্বনি ভোট হল, ওই ধ্বনি ভোটের পর আমরা ভোটাভুটি চাইতে পারতাম। কিন্তু কাল রাতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলাম যে, আমরা ভোটাভুটি চাইব না। কারণ, প্রথম দিন থেকে সর্বসম্মতির যে আবহ ছিল, সেটাই আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। রাহুলজি তো ভাষণে সেকথাই বললেন যে, আমরা সহযোগিতা করর। আমাদের বলার সুযোগ দিন। আমরাও নির্বাচিত হয়ে এসেছি। এই পরিস্থিতিতে ভোটাভুটি চাওয়া আমাদের উচিত বলে মনে হয়নি’।
এর আগে, গতকাল, মঙ্গলবার এই স্পিকার মনোনয়ন নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের দিনভর টানাপোড়েন চলে। এ রাজ্যের শাসকদলের তরফে বলা হয়, স্পিকার নির্বাচন নিয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাহুল গান্ধী। তৃণমূলকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ধরে নেওয়া হয়েছে’। বিকেলে প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাহুল গান্ধী, রাতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকও হয় মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে। শেষপর্যন্ত আজ, বুধবার সকালে স্পিকার পদে কংগ্রেসের কে সুরেশকেই সমর্থনের কথা জানায় তৃণমূল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)