সংসদে বাজেট বিতর্কে শ্বেতপত্র-তরজা, অভিষেকের নেতৃত্বে ওয়াকআউট তৃণমূল সাংসদের! TMC MPs walkour from Parliament under the leadership of Abhishek Banerjee

রাজীব চক্রবর্তী: বাংলায় আবাস যোজনা ও একশোর দিনের কাজে বরাদ্দ কত? কেন্দ্রের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে এবার সংসদে ওয়াকআউট করলেন তৃণমূল সাংসদরা। নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

আরও পড়ুন:  Kerala Wayanad Landslide: ভূমিধসে মৃত বেড়ে ৮৯, জীবন বাজি রেখে ওয়ানাড়ে উদ্ধারকাজে NDRF!

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই সরব তৃণমূল। লোকসভা ভোটের প্রচারে এই ইস্য়ুতে বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল। এমনকী, গত বছরের অক্টোবরের বাংলার প্রাপ্য টাকা আদায় করতে দিল্লিতে ধরনাও দিয়েছিলেন তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরপর কেন্দ্রের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেন তিনি। কবে? চলতি বছরের ১৪ মার্চ।

তখন বাজেটে জবাবি ভাষণ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এদিন সংসদে বাংলায় আবাস যোজনা ও একশোর দিনের কাজে বরাদ্দ নিয়ে শ্বেতপ্রকাশ দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা। শেষপর্যন্ত অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা। 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যসভায় যেদিন বাজেট পরিবেশন করা হয়, তখন বলছিলেন, ১০ বছর ধরে বাংলার আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। বাংলার সরকার সেই টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। আমি একটা ছোট্ট প্রশ্ন নির্মলা সীতারমণকে করেছিলাম সেদিনে যে, ২০২১ বাংলার মুখ থুবড়ে পড়ার পরে, বাংলার হারার পরে আপনি আবাস যোজনায় এবং একশো দিনের কাজে কত টাকা বাংলাকে দিয়েছেন, শ্বেতপত্র প্রকাশ করে ঘোষণা করুন। ধারাবাহিক ভাবে রাজ্যসভায় ও লোকসভা মিথ্যা কথা বলে এসেছেন। বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন’।

চুপ থাকেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সংসদের দাঁড়িয়ে তাঁর মন্তব্য,  ‘স্বাধীনতার সময় শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ শতাংশ অংশীদারী ছিল, এখন  ৩.৫ শতাংশ। ২০০৭ সালে বাংলার ‘গ্রস ক্যাপিটাল ফরমেশন ছিল ৬.৭ শতাংশ, এখন  ২.৯ শতাংশ। প্রয়োজন হলে আমি শ্বেতপত্র প্রকাশ করব’।

এর আগে, সংসদে বাজেট আলোচনায় দেশের প্রাক্তন দুই অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং ও  পি চিদাম্বরমের সঙ্গে নির্মলা সীতারামনের তুলনা টেনে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এদিন মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে দেখেছি।  তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সৌগত রায় কি বলতে চাইছেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ভালো অর্থমন্ত্রী হওয়া যায় না? চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেছেন। আমি জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেছি’।

আরও পড়ুন:  UP Shocker: বিয়ে করে একী জ্বালা! পছন্দের শাড়ি কিনে দিতে না পারায় থানায় নালিশ স্ত্রীর…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link