শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে এবার উত্তরকাশীর টানেলে নামল সেনা!। Indian Army in Uttarkashi rescue Indian Army Steps In For Tunnel Rescue After Drilling Machine Breaks Down

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার জায়ান্ট ড্রিল মেশিন বিকল। ভারতীয় সেনা পৌঁছল উত্তরকাশীতে। গত বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেদিনই আর কয়েক ঘণ্টার মধ্য়ে উত্তরকাশীর ভেঙে পড়া টানেলের অন্ধকূপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন ৪১ জন শ্রমিক। কিন্তু বিধি বাম হয়েছিল সেদিনই। সমস্যার মুখে পড়েছিলেন উদ্ধারকারী দল। এবার সেখানে নতুন সমস্যা। বিকল হয়ে পড়ল জায়ান্ট ড্রিল মেশিন। এই পরিস্থিতিতে এবার উদ্ধারকাজে নামল ভারতীয় সেনা।

আরও পড়ুন: Kashmir: তুষারে ঢাকা ভূস্বর্গ, ভয়ংকর ঠান্ডায় কাঁপছে কাশ্মীর! তাপমাত্রা কোথাও মাইনাস ৪-এর কাছে…

যে প্ল্যাটফর্মের উপর অগার মেশিনটি রেখে কাজ চলছিল সেটি ‘ডি-স্টেবিলাইজড’ হয়ে গিয়েছিল। এই কমজোরি হয়ে পড়া প্ল্যাটফর্মটি ঠিক না করা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ ফের পুরোদমে শুরু করা যাবে না বলেই জানা গিয়েছিল। সেদিনও পর্যন্ত ৪৬.৮ মিটার পর্যন্ত পৌঁছনো গিয়েছিল। আশা করা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে প্ল্যাটফর্মটি ‘স্টেবিলাইজড’ হয়ে যাবে। তারপর ফের শুরু করা যাবে উদ্ধারকাজ।

কিন্তু তেমনটা ঘটেনি। দেখতে-দেখতে ১৫টি দিন অতিবাহিত। ৪১ জন সেনার মুক্তি ক্রমশই পিছিয়ে যাচ্ছে। ড্রিলিং মেশিন অকেজো হয়ে পড়ার পড়ে এবার শ্রমিক-মুক্তির দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন ভারতীয় সেনারা। তাঁরা ম্যানুয়াল ড্রিলিং করে শ্রমিকদের বের করে আনবেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর ধস নেমে টানেলের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। ওই শ্রমিকদের মধ্যে বাংলার ৩ শ্রমিকও রয়েছেন। ধসের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল উদ্ধারের কঠিন লড়াই। আনা হয়েছে বিদেশি যন্ত্রপাতি। এসেছেন বিশেষজ্ঞেরা। ইতিমধ্যেই ৪৪ মিটার লম্বা একটি পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঢুকিয়ে শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে খাবারদাবার ওষুধপত্র। পাশাপাশি, ক্যামেরা লাগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলাও সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এনডিআরএফের ২১ জনের একটি দল অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে টানেলে প্রবেশও করেছে।

জেজিলা টানেল প্রজেক্টের প্রধান জানিয়েছেন সামনে খুব কম ধ্বংসস্তূপ থাকলেও সেখানে কিছু স্টিলের রড বেরিয়ে পড়েছে। ফলে সেগুলি কেটে রাস্তা করাই এখন প্রধান কাজ। ৪৭ মিটার পাইপ ঢোকানো হয়েছে। সামনে মাত্র ৯ মিটার বাকি।

আরও পড়ুন: Justice Fathima Beevi Passes Away: প্রয়াত সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি ফতিমা বিভি…

সৌভাগ্যের বিষয় হল, যে জায়গায় শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন, সেটি সাড়ে ৮ মিটার উঁচু ও ২ কিলোমিটার লম্বা। ফলে অক্সিজেনের সমস্যা খুব বেশি হচ্ছে না। শ্রমিকদের জন্য ৪১ বেডের একটি হাসপাতাল তৈরি রাখা হয়েছে। টানেলের বাইরে অপেক্ষা করছে অ্য়াম্ব্যুল্য়ান্স ও মেডিক্যাল টিম। টানা ১৫ দিন টানেলে আটকে শ্রমিকেরা। ভেতরের তাপমাত্রা ও টানা বন্দিদশায় থাকার কারণে তাঁদের অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেকথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী এই হাসপাতাল। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link