রাম এখানে রাজা ছিলেন ৪৫০ বছর! অযোধ্যা নয় কিন্তু, কোথায়, জানেন?। Lord Ram was a king here for 450 years long a ramrajya out of ayodhya revealed in the ambience of ram Lalla pran pratishtha

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রামরাজ্য একটা বহুধাবিস্তৃত আইডিয়া। অযোধ্যার রামচন্দ্রের সঙ্গে যেটা অন্বিত। রামভক্তেরা যে-ধারণা বহু সুখে ও আনন্দে লালনপালন করে থাকেন।

আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রোমেডার সঙ্গে ধাক্কা মিল্কি ওয়ের! কী হবে এ পৃথিবীর? ছিন্নভিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়বে?

তবে, সম্প্রতি এই রামরাজ্য নিয়ে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ওর্ছা দাবি করেছে, তাদের সঙ্গে শ্রীরামের অন্তত ৪৫০ বছরের সম্পর্ক। বুন্দেলখণ্ডের ঘন জঙ্গলের ভিতরে এক নদীর ধারে, তুলনামূলক ভাবে নীচু জমিতে কোথা থেকে এল এই দ্বিতীয় রামমন্দির? কোথা থেকে জেগে উঠল দ্বিতীয় রাম-রাজ্য? কোথা থেকে এল রামের নবতর অধিষ্ঠান? আপাতত সেসব নিয়েই এখন গবেষণা, চর্চা চলবে। হয়তো আগামী দিনে অনেক তথ্যই জানা যাবে, তবে আপাতত নতুনের জন্য অধীর অপেক্ষা।  

এদিকে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়ে গিয়েছে যথাবিহিত আড়ম্বরে। রামলালার বিখ্যাত ভাস্কর তথা মূর্তিশিল্পী কর্ণাটকের অরুণ যোগীরাজ এই মূর্তি তৈরি করেছেন। তাঁর তৈরি অযোধ্যার রামলালার মূর্তি নিয়ে এখনও ঘোর কাটছে না দেশের। দেশ জুড়ে এখনও চলছে রামমন্দির ও রামলালার মূর্তির প্রতি মুগ্ধতার রেশ।

রামমন্দিরের সৌন্দর্য দেখে আপ্লুত ভক্তরা, মূর্তিশিল্পীর নিপুণতা দেখেও মুগ্ধ তাঁরা। রামের মূর্তি তৈরি করার পুরো বিষয়টিই অরুণের কাছে ছিল আশ্চর্য অভিজ্ঞতাময়। যে কয়েকদিন ধরে অরুণ রামলালার মূর্তি তৈরি করেছিলেন, সেই কয়েকদিন রাতে তিনি টানা ঘুমোতে পারেননি। বারবার উঠে পড়তেন। তাঁর মনে হত, রামলালা যেন তাঁকে ডাকছেন!শ্যামশিলা তথা কালো পাথর খোদাই করে রামের এমন স্বর্গীয় রূপসৌন্দর্য কীভাবে ফুটিয়ে তুললেন শিল্পী? 

এ নিয়ে শিল্পী নিজে কী বলেছেন? 

মূর্তিশিল্পী ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ এক আশ্চর্য অলৌকিক দৈবী অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, প্রাণপ্রতিষ্ঠার কাজ মিটে গেলে নিজের তৈরি রামের মূর্তির দিকে তাকিয়ে তিনি নিজেই আশ্চর্য হয়ে যান! এ কি তাঁরই তৈরি করা মূর্তি? মূর্তির দিকে তাকিয়ে তিনি যেন চিনতে পারেন না তাঁর সৃষ্ট রামলালাকে। ৭ মাস ধরে একাগ্র ভাবে তৈরি করেছিলেন এই মূর্তি। সেই তিনি স্বীকার করেন, যখন মূর্তিটি তিনি তৈরি করছিলেন, তখন সেটা একরকম ছিল; কিন্তু পরে সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ ধারণ করে।

অরুণ যোগীরাজ এর আগেও বলেছেন, রামের মূর্তি কেমন হবে, সে সম্পর্কে প্রথমে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না। কাজটি করতে-করতেই তিনি যেন ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে জন্ম দিচ্ছিলেন শ্রীরামের অবয়ব, ভাব, রূপ‌! একটা ইঙ্গিত অবশ্য দিয়েছিলেন অরুণ। তিনি জানিয়েছিলেন, গত বছর দীপাবলির সময় তিনি অযোধ্যায় গিয়েছিলেন। অযোধ্যায় সেই সময় কয়েকজন শিশুকে দেখেছিলেন। তখন ভিতর থেকে একটা অদ্ভুত ভাবনা দিশা দেখায় তাঁকে। শিশুদের মুখ দেখার পরই রামের মুখ সম্পর্কে তাঁর মনে যেন একটা ধারণা তৈরি হয়!

আরও পড়ুন: Ram Lalla: ‘রামলালা চোখ মেলেছিলেন মাত্র ২০ মিনিটে’! অলৌকিক অভিজ্ঞতা ভাস্কর অরুণের…

যোগীরাজ আরও চিত্তাকর্ষক একটি তথ্যও জানিয়েছিলেন। সেটি হল রামলালার চোখ নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, রামলালার চোখ তৈরি করাটাই তাঁর কাছে ছিল সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রামের ওই ভাবময়, করুণামাখা চোখ তিনি কীভাবে তৈরি করবেন? অরুণ জানিয়েছেন, মাত্র ২০ মিনিটই নাকি তাঁর হাতে ছিল। আসলে ওই ২০ মিনিটই ছিল শুভ। তার মধ্যেই শ্রীরামের চক্ষুদান করতে হবে। সেদিন ঠিক সেটাই করতে পেরেছিলেন অরুণ। সে এক আশ্চর্য ঘটনা। অলৌকিকও।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link