‘মেরেকেটে আর ১০-১২ দিন’! রণক্লান্ত ইসরায়েলই হাত তুলে নেবে, শেষ হচ্ছে গোলাবারুদ…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইসরায়েল-ইরান ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ষষ্ঠ দিনে পা দিয়েছে বুধবার। ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। প্রত্যাঘাত করেছে ইরানও।ইরানের সামরিক পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে বড় সাফল্যের দাবি করা সত্ত্বেও, ইসরায়েল কিন্তু দ্রুত তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টরের সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছে! যা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার স্থায়িত্ব নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিয়েছে! মিত্রশক্তির ইন্টেলিজেন্স মূল্যায়ন করেন, এমন এক মার্কিন কর্তার সঙ্গে কথা বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট করেছে।

ইসরায়েল-ইরান, অবিরাম ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেই চলেছে। গত শুক্রবার ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’ শুরুর পর থেকে ইরান প্রায় ৪০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে! যা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছতে সক্ষম আনুমানিক ২০০০ অস্ত্রাগারের একটি অংশ। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে উচ্চ-উচ্চতার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের জন্য তৈরি শক্তিশালী অ্যারো সিস্টেম, বেশিরভাগই নিস্ত্রিয় করে দিয়েছে। 

আরও পড়ুন: ইরানের পাহাড়বেষ্টিত পরমাণুকেন্দ্র; কীভাবে এত সুরক্ষিত ফোরডো গ্রামের ‘পাতালঘর’?

ইসরায়েলের স্তরযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং, অ্যারো সিস্টেম এবং মার্কিন সেনার সরবরাহ করা প্যাট্রিয়টস এবং থাড ব্যাটারির রক্ষণাবেক্ষণের খরচই, ইসরায়েল কে চাপে ফেলে দিয়েছে। ইসরায়েলি ফিনান্সিয়াল ডেইলির অনুমান, যে রাতের দিতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন ডলার! অ্যারো সিস্টেমটিই ইন্টারসেপ্টরের প্রতিটি ফায়ারের খরচই ৩ মিলিয়ন ডলার!

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রায় প্রতিদিনই অব্যাহত থাকায়, ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এখন প্রচণ্ড চাপের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুত সরবরাহ বা সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া, ইরান যদি হামলার ধারাবাহিক গতি অব্যাহত রাখে, তাহলে ইসরায়েল আর ১০ থেকে ১২ দিন তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখতে পারবে! মার্কিন ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইতিমধ্যেই চাপে। দ্রুতই তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বেছে নিতে হবে।’
 
গত শুক্রবার রাতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এড়িয়ে তেল আভিভে অবস্থিত আইডিএফ সদর দফতরে আঘাত হেনেছে। যার ফলে গত রবিবার হাইফার কাছে এক প্রধান তেল শোধনাগার বন্ধ হয়ে যায়। এবং গত মঙ্গলবার সকালে, যাচাইকৃত সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিয়োগুলিতে তেল আভিভের উত্তরে, ইসরায়েলের ইন্টেলিজেন্স কম্পাউন্ডের কাছে একাধিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিয়ো ধরা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলের সরকার ২৪ জনের মৃত্যু এবং ৬০০ জনেরও বেশি আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও ইসরায়েলের আক্রমণাত্মক হামলায় ইরানের সামরিক ঘাঁটি, তেল পরিকাঠামো এবং পারমাণবিক-সংযুক্ত স্থান-সহ ইরানের ভালোই ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন সবটাই নির্ভর করছে যে, ইসরায়েল তার সবচেয়ে উন্নত এবং ব্যয়বহুল ক্ষেপণাস্ত্র শিল্ডকে বাঁচিয়ে লড়াই চালাতে পারে কিনা!

আরও পড়ুন: ৩০০০০ পাউন্ডের জিবিইউ-৫৭! ট্রাম্পের থেকে চাইল ইসরায়েল, ফোরডো উড়বে? খেলা ঘুরবে…

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

Source link