মানুষ মেনে নেবে না; ২৩ হাজার কোটির দুর্নীতিতে ডুবে তৃণমূল, সুর চড়ালেন মোদী

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের আগে একে অন্যের হাত ধরেছে দুর্নীতিগ্রস্থরা। একসময় যারা একে অন্যকে গালাগালি দিতেন তারা এখন তারা প্রণাম করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় কংগ্রেস, তৃণমূল ও ডিএমকে-সহ বিরোধী একাধিক দল। লোকসভা ভোটের আগে জোটকে এভাবেই আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন মোদী।

আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটে কাটছে জট, জেলায় পাঠানো হচ্ছে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী

সারদা, রোজভ্যালি ও শিক্ষা দুর্নীতিতে ২৩ হাজার কোটি টাকা নয়ছয় করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। মানুষ এই দুর্নীতি ভুলবে না। ‘আমার বুথ সবচেয়ে মজবুত’, বিজেপির ওই কর্মসূচিতে সরব হলেন মোদী। 

নরেন্দ্র মোদী বলেনস ভাজপার যারা ঘোর বিরোধী ছিল তাদের মধ্যে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে এত ছটফট দেখিনি। আজ এক ছটফটানি কেন? যাদেরকে কিছু একসময় কিছু লোক শত্রু বলতো, গালাগালি করতে তারা ওইসব লোককে প্রণাম করছে। এটা হল ওদের বাধ্যবাধকতা। বিরোধী দলের এইসব ছটফটানি ও আতঙ্ক প্রমাণ করে দেশের মানুষ এদের ক্ষমা করবে না। পাশাপাশি তারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভাজপাকে ফের ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছে। বিরোধীদের এই বিরোধী জোটে এমনকিছু লোক আছেন যারা জেল ফেরত। তাদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছে বিরোধী নেতারা। সম্প্রতিক কালে গ্যারান্টি বলে একটা শব্দ জনপ্রিয় হয়েছে। এটা হল দুর্নীতিগ্রস্থদের শাস্তির গ্যারান্টি।

বিজেপির ওই সভায় বিরোধীদের নিশানা করে মোদী বলেন, দুর্নীতিগ্রস্থদের বিরুদ্ধে  যখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তখন তারা একজোট হচ্ছে। যারা জেল ফেরত ও জেল যাদের ডাকছে তাদের যুগলবন্দি এখন দেখা যাচ্ছে। ছবিতে ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের সবার দুর্নীতি যদি হিসেব করেন তাহলে দেখা যাবে এরা মোট ২০ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। কংগ্রসের একার দুর্নীতিই লাখ কোটি টাকার বেশি। তৃণমূলের বিরুদ্ধেও ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রোজভ্যালি দুর্নীতি, সারদা দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গোরুপাচার দুর্নীতি, কয়লা পাচার দুর্নীতির  অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মানুষ এইসব দুর্নীতির কথা কখনওই ভুলবে না। 

প্রধামন্ত্রীর ওই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ২০২১ সালে ভোটের সময়ে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে একই ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েছিলেন। বাংলার মানুষ তা প্রত্যাখান করেছিলেন। এবার বিরোধী জোট ও তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছেন। রইল বাকী দুর্নীতির কথা। সারদায় অভিযুক্ত, নারদায় এফআইএর নেমড রেজিস্ট্রার্ড ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারীকে যারা কোলে নিয়ে দলের পদে বসিয়েছেন তাদের মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। নরেন্দ্র অধিকারী যেসব দুর্নীতির কথা বলছেন তার সঙ্গে জড়িত শুভেন্দু অধিকারী। গ্রেফতারি এড়াতেই তিনি বিজেপিতে গিয়েছেন। বিজেপি ওয়াশিং পাউডার নাকি? এসব এখন প্যানিক রিঅ্যাকশন হচ্ছে। যারা বিজেপির জনবিরোধী নীতি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে চায় তারা যখন হাত মেলান তখন বিজেপির গদিতে টান পড়ে যাচ্ছে। পা কাঁপছে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

Source link