জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নতুন গবেষণা বলছে, যদি বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমন কমানো না হয়, তাহলে ২০২৫ থেকে ২০৯৫ সালের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সমুদ্র স্রোত! তা হলে, কী হবে এ বিশ্বের, এ সৃষ্টির?
আরও পড়ুন: Conservation of the Mangrove: জেনে নিন কেন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ‘সুন্দরবন’ রক্ষা এত জরুরি…
‘নেচার কমিউনিকেশনস’ নামের পত্রিকায় নতুন এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ‘গাল্ফ স্ট্রিম’ বা উপসাগরীয় স্রোত ২০২৫ সালের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে! নতুন এক সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন ইঙ্গিতই মিলেছে। বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসাগরের স্রোতকে ‘আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন’ বা ‘অ্যামোক’ নামে অভিহিত করে থাকেন।
কী হবে এই স্রোত বন্ধ হয়ে গেলে?
এই স্রোত বন্ধ হলে তা জলবায়ুর উপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে। । এই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে অ্যামোক ১৬০০ বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: Export Ban on Rice: রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা, চাল কেনার জন্য হুড়োহুড়ি বাজারে! দুর্ভিক্ষ কি কড়া নাড়ছে?
গবেষকেরা অবশ্য ২০২১ সালেই এ নিয়ে বিপদসংকেত দিয়েছিলেন। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার ডিটলভসেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন– আমাদের খুবই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত! তবে অন্য অনেক বিজ্ঞানী নতুন এই বিশ্লেষণের সঙ্গে একমত নন। তবে সব বিজ্ঞানীই এই বিষয়ে একমত যে, যে-ইস্যুটি উঠেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। তাই কার্বন নির্গমন অবিলম্বে কমানো উচিত।