মধ্যরাতের ‘কামুক’ শহরে উর্দিহীন মোহময়ী IPS অফিসার! কে এই সুকন্যা, যাঁর…Know the biography of sukanya sharma who walked out at night to check security

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাধারণ পোশাকে মাঝরাত্রে অটোতে চড়ে শহর ঘুরলেন উত্তরপ্রদেশের আগরার অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (এসিপি) সুকন্যা শর্মা। না, তিনিই যে এসিপি সেকথা টের পেতে দেননি কাউকে। একেবারে সাধারণ পোশাকে পর্যটক সেজে বেরিয়ে নিজের শহর কতটা সুরক্ষিত তা সরেজমিনে দেখলেন তিনি। যে শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে, সেই শহরে নারীরা কি সুরক্ষিত? কতটা সুরক্ষিত? মহিলারা বিপদে পড়লে পুলিশ কি কোনও রকম সহায়তা করে? সে সব কিছুই খতিয়ে দেখলেন তিনি।  সেই পরীক্ষায় পাশ করে যায় পুলিস। এসিপি সুকন্যার আসল পরিচয় কি জানেন? 

আরও পড়ুন, UP Shocker | Delivery: ফ্রিতে চাই দামি ফোন, যোগীরাজ্যে ডেলিভারি দিতে গিয়ে টুকরো টুকরো হলেন ফ্লিপকার্ট-কর্মী

কে এই সুকন্যা?
উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলায় ২৫ আগস্ট ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন সুকন্যা শর্মা। তাঁর পিতার নাম আরকে এস রমন। তিনি বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক স্তরে উত্তীর্ণ হন। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল পুলিসে যোগ দিয়ে দেশের সেবা করবেন। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য দিল্লিতে এসে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৭ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশ প্রভিশনাল পুলিস সার্ভিস (PPS) পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এবং ১৯ অক্টোবর ২০২০ তে যোগ দেন কাজে। কাজে যোগ দেওয়ার পর তিনি আগ্রার ছত্তা থানায় পোস্টিং পান। সেখানে ১ বছর থাকার পর আগ্রার ব্যস্ততম থানা কোতোয়ালিতে নিয়োগ পান। সুকন্যা শর্মা প্রথম উত্তরপ্রদেশ পুলিসে মহিলা এসওজি কম্যান্ডো দল গঠন করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ডিএসপি রাঙ্কে আগ্রা পুলিস কমিশনারেটের এসিপি পদে রয়েছেন। এসিপি সুকন্যা আগ্রার পুলিস লাইন গ্রাউন্ডে মহিলাদের সচেতন করে তোলার প্রশিক্ষন দেন৷ তাঁর মতে, নারীরা শুরু থেকেই শক্তিশালী। তাঁদের শুধু কিছু অনুপ্রেরণা দরকার। 

মাঝরাতে আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এসিপি সুকন্যা। সেখান থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরখ করার জন্য তিনি পুলিসকে ফোন করেন। পুলিসকে তিনি জানান, তিনি রাত্রে রাস্তায় একা দাঁড়িয়ে আছেন এবং নির্জন রাস্তা হওয়ায় তাঁর খুব ভয় লাগছে। নিজের পরিস্থিতি জানিয়ে পুলিসের সাহায্য চান তিনি। কন্ট্রোলরুম থেকে এসিপি সুকন্যার কাছে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় এবং তাঁকে বলা হয় তিনি যেখানে আছেন সেখানেই যেন দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর তাঁর কাছে রাস্তায় টহলরত মহিলা পুলিশদলের একটি ফোন আসে এবং বলা হয় তাঁকে মহিলা পুলিসদল নিতে আসছেন। এরপর, এসিপি সুকন্যা তাঁর আসল পরিচয় দেন। এবং পুলিসদলকে জানান, তিনি পরীক্ষা করে দেখছিলেন যে ইমারজেন্সি পরিস্থিতিতে পুলিসের সাহায্য চাইলে পাওয়া যায় কি না! তবে এ ক্ষেত্রে সেই পরীক্ষায় পাশ করে যায় পুলিস। এর পরেই খবরের শিরোনামে আসেন সুকন্যা। 

আরও পড়ুন, Jhanshi: ‘৪৫ দিন আমি ঘুমোইনি’, কাজের চাপে এবার আত্মঘাতী বেসরকারি সংস্থার কর্মী!

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link