জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের লঙ্কা বাংলাদেশে ঢুকেই ঝাল লাগিয়ে দিল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। ১০ মাস বন্ধ থাকার পরে দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি শুরু হল কাঁচা লঙ্কার। ঈদ উপলক্ষে ছুটি সেখানে। বাজার বন্ধ। তার একদিন আগে সোমবার সেখানে শুরু হয় কাঁচা লংকা আমদানি। একদিনেই আমদানি হয় ২৭ মেট্রিক টন! কিন্তু স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ, যে হিলি দিয়ে আমদানি হয়েছে ভারতীয় কাঁচালংকা সেই হিলি বন্দরের বাজারেই মিলছে না তা! আর একরাতের ব্যবধানে সেখানে দেশীয় কাঁচা লংকা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে!
আরও পড়ুন: China on Wagner Insurrection: পুতিনের বিরুদ্ধে ভাগনারের বিদ্রোহে চিন কি রাশিয়ার পাশে দাঁড়াল? না কি…
বাংলাদেশের স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ২৬ জুন ভারত থেকে আসা কাঁচা লঙ্কা হিলির বাজারে আসেইনি। পোর্ট থেকেই তা বাইরের পাইকারেরা কিনে নিয়ে গিয়েছেন। তাই বাংলাদেশের স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা দেশি কাঁচা লঙ্কাই বিক্রি করছেন। সরবরাহ কম থাকা ঈদের দিনেও প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কা প্রকারভেদে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই লংকাই পরে ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরেও বিকিয়েছে।
কৃষকদের কাছ থেকে স্থানীয় দেশি কাঁচা লঙ্কা কিনে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই তাঁরা ওই লঙ্কাই ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। আমদানিকারক জানান, সরকার কাঁচা লঙ্কা আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে ঢাকা-সহ অনান্য জায়গার পাইকারি কাঁচালঙ্কা ক্রেতারা আগে থেকেই হিলিতে অপেক্ষা করছিলেন। ভারত থেকে ২৭ মেট্রিক টন কাঁচা লঙ্কা আমদানি হয়। কিন্তু সমস্ত লঙ্কাই ওইদিনেই বাইরের পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। এজন্য স্থানীয় বিক্রেতারা লঙ্কা কিনতেই পারেননি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটির পরে লঙ্কা আমদানি শুরু হবে। তখন কাঁচা লঙ্কার দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন হিলি বাজারেও কাঁচালঙ্কা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: Nepali Youth into Russian Forces: কীসের লোভে নেপালি তরুণরা পুতিনের হয়ে অস্ত্র ধরতে ছুটছে জানেন?
জানা গিয়েছে, গত বছরের ২৪ আগস্ট থেকে বন্ধ ছিল কাঁচা লঙ্কা আমদানি। ২৫ জুন সরকার আবার কাঁচা লঙ্কা আমদানির অনুমতি দেয়। এর ফলে সোমবার থেকেই হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা লঙ্কা আমদানি শুরু হয়েছে।