জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাঝারি মানের একটি ভুমিকম্প হল গুজরাটে। বুধবার বিকেল নাগাদ ৩.৫ মাত্রার এই কম্পন অনুভূত হয় ভাচাউ অঞ্চলে। আগামী কাল বৃহস্পতিবার গুজরাটে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের উপকূলে ‘বিপর্যয়’ ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার কথা। সেই ‘বিপর্যয়’-এর আগেই এই বিপর্যয়। এখনও ক্ষয়ক্ষতি সম্বন্ধে কোনও খবর মেলেনি। মেলেনি হতাহতের খবরও।
আরও পড়ুন: Earthquake Jolts Kashmir: ভূস্বর্গে ভূকম্পন! কেঁপে উঠল দিল্লিও…
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ কচ্ছের ভাচাউয়ের পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে এই কম্পন অনুভূত হয়। গান্ধীনগরের ইনস্টিটিউট অফ সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ এই কম্পনের খবর নিশ্চিত করে।
এদিকে আগামী কাল ১৫ জুন বিকেলের দিকে কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রে বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার কথা। কচ্ছে অতি উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতের গুজরাত ও পাকিস্তানে করাচি উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এর গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার হতে পারে। কমলে তা হবে ১৩৫ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।’বিপর্যয়’ মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে প্রশাসন । শুধু জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল নয়, গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায় উদ্ধারকাজে নেমেছে পড়েছে সেনাও। এদিন উপকূল থেকে ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অস্থায়ী ক্যাম্পে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র যাত্রায় জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন: Cyclone Biparjoy: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে ‘বিপর্যয়’, উত্তাল সমুদ্র! উপকূলে চরম সতর্কতা
২০০১ সালের গুজরাটের ভূমিকম্পের স্মৃতি এখনও টাটকা। গত দু শতকের মধ্যে ‘সেকেন্ড মোস্ট ডেসট্রাকটিভ আর্থকোয়েক’ হিসেবে পরিচিত এটি। বহু গ্রাম শহর তছনছ হয়ে গিয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ আহত হয়েছিলেন।