জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বারাণসীতে উনিশের তরুণীকে গণধর্ষণের কাণ্ডে অন্তত ৯ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু জানা গিয়েছে, অন্তত ১১ জনকে শনাক্তই করা সম্ভব হয়নি!
এদিকে উন্নয়নমূলক কিছু কর্মসূচির সূত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসীতে গিয়েছেন। বারাণসী তাঁর সংসদীয় আসন। সেখানে পৌঁছনোর পরে প্রধানমন্ত্রীকে বারাণসীর এই ন্যক্কারজনক ঘটনার খবর জানানো হয়। সব শুনে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী দোষীদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন।
কদিন আগেই যোগীরাজ্যে ফের ঘটল ধর্ষণের ঘটনা! কালিমালিপ্ত হল বারাণসীর মতো তীর্থস্থান। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে সাতদিন আটকে রেখে চলল গণধর্ষণ! অভিযোগ, হুক্কা বারে দ্বাদশ শ্রেণির ওই তরুণীকে মাদক মিশ্রিত পানীয় খাওয়ানো হয়। তারপর তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে সাতদিন ধরে গণধর্ষণ করে ২৩ জন! অভিযুক্তদের ১৭ জন ফেরার ছিল। তরুণীর পরিবারের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নেমে পুলিস ৬ জনকে গ্রেফতার করে। পরে আরও ৩ জনকে। বাকিদের খোঁজ চলছে। যাদের মধ্যে ১১ জনকে চিহ্নিতই করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: PoK is Ours: অখণ্ড কাশ্মীর এবার ভারতেরই? পাকিস্তানের হাত থেকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ছিনিয়ে নেবেন নরেন্দ্র মোদী? কী বললেন অমিত শাহ?
আরও পড়ুন: Jupiter Transit in Mrigasira: দেবগুরু বৃহস্পতি ঢুকছেন মার্গশীর্ষে! বৃহস্পতির সন্ধের পর থেকেই এঁদের জীবনে সৌভাগ্যের বিপুল বন্যা…
গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। পুলিসসূত্রে জানা গিয়েছিল, ‘নির্যাতিতা একটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নিয়মিত দৌড় অনুশীলনের জন্য ইউপি কলেজে যেতেন। ২৯ মার্চ এক বন্ধুর সঙ্গে বারাণসীর পিশাচমোচন এলাকার একটি হুক্কা বারে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ।’ পুলিসসূত্রে আরও জানা যায়, গোপন জবানবন্দিতে ওই নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২৯ মার্চ এক বন্ধু তাঁকে ওই হুক্কা বারে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে আরও কয়েকজন যুবক ছিলেন। তখন কোনও ভাবে তরুণীর নরম পানীয়তে তাঁরা মাদক মিশিয়ে দেন। মাদকের প্রভাবে প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন তরুণী। এরপর সাত দিন ধরে সিগ্রা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে তাঁকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন অন্তত ২৩ জন যুবক। অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েক জন তরুণীর পূর্বপরিচিত ছিলেন বলেও জানিয়েছিল পুলিস।
এদিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে নির্যাতিতার পরিবার ৪ এপ্রিল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তল্লাশিতে নেমেই অবশ্য তরুণীকে খুঁজে পায় পুলিস। সেই সময়ে, তরুণীর তরফে ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনার কথাই অবশ্য পুলিস জানতে পারেনি। এমনকি তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকেও যৌন নির্যাতনের কোনও অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে করা হয়নি। পরে, ৬ এপ্রিল লালপুর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগ পেয়েই দ্রুত তদন্তে নামে পুলিল। তদন্তে নেমেই ছ’জনকে আটক করা হয়। ১৭ জনের কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। হুক্কা বারের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দেখা হয় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)