জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বহু মুসলিমের বসবাস। অথচ, এলাকায় নেই একটিও মসজিদ। বহুবার তাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের প্রার্থনার জন্য এলাকায় একটি মসজিদ হোক। কিন্তু কার্যত কিছু হয়নি। কোন কোন দেশে এমন ঘটেছে?
পৃথিবীর সর্বত্র মুসলিম আর ক্রিশ্চানদের দেখা মেলে। আর যখনই কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় তাঁদের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় এসে পৌঁছয়, তখনই তাঁরা সমবেত ভাবে ধর্মীয় আচার-আচরণ পালনের জন্য একটি ধর্মস্থানের কথা ভাবেন। কিন্তু এই কয়েকটি জায়গায় মুসলিমেরা কোনও দিনই তাঁদের জন্য কোনও মসজিদের ব্যবস্থা করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: Nuclear Weapons: অচিরেই পরমাণুযুদ্ধ? কেন চিন-সহ নানা দেশ গোপনে বাড়াচ্ছে নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেডস…
এই ধরনের দেশের তালিকায় একেবারে উপরের দিকেই রয়েছে স্লোভাকিয়া। চেকোস্লোভাকিয়া থেকে ভেঙে বেরিয়েছে স্লোভাকিয়া। এখানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অন্তত ৫০০০। দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় তা ০.১ শতাংশ। এখানকার জনগোষ্ঠী বহুবার মসজিদের দাবি তুলেছে। এই নিয়ে ২০০০ সাল নাগাদ এখানে বহু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে ২০১৬ সালে সেখানে একটি আইন পাস হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, এ দেশের কোনও ধর্মীয় পরিচয় নির্দিষ্ট করা হবে না।
এরকম আর একটি দেশ হল এস্তোনিয়া। ২০১১ সালের জনগণনায় জানা গিয়েছিল, এদেশে প্রায় ১৫০৮ জন মুসলিমের বাস। সংখ্যাটা সারা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ০.১৪ শতাংশ। অথচ এদেশে আপনি একটিও মসজিদ দেখতে পাবেন না! তবে এদেশে ফ্ল্যাটে নামাজ পড়ার প্রচলন হয়েছে। এই সব ফ্ল্যাটে শিয়া ও সুন্নি একত্রে নামাজ পড়েন।
আরও পড়ুন: Taliban and Al-Qaeda: তালিবানের সঙ্গে আল-কায়দার গোপন যোগ? আফগানিস্তানের কড়া সমালোচনা রাষ্ট্রসংঘের…
আর একটি দেশ রয়েছে মোনাকো। এখানেও প্রচুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর বাস। কিন্তু এখানেও কোনও মসজিদ নেই।