বদলের বাংলাদেশে বিপন্ন খাদ্য-নিরাপত্তা! Food is not safe in Bangladesh

সেলিম রেজা, ঢাকা: ফুটপাতই হোক কিংবা নামীদামী রেস্তোরাঁ, বাংলাদেশে আর কোথাও নিরাপদ নয় খাদ্য! অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে মানহীন খাবার। খাবারে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত রঙ ও রাসায়নিক। এমনকী, ভেজাল শিশুদের খাবারেও! ফলে ঘটছে মৃত্যু, বাড়ছে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা। অভিযোগ, অভিযান বা জরিমানা ব্য়বস্থা থাকলেও কাজের কাজ হচ্ছে না।  

আরও পড়ুন:  Amar Ekushe Boimela: ঢাকায় শুরু ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৫’! উদ্বোধন করলেন মুহাম্মদ ইউনূস…

বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্‍পাদন তো বটেই, খাবারের মান সঠিক রাখতে পরিবহণ, সংরক্ষণ, পরিবেশনের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে গলদ। এই পরিস্থিতিতেই আজ, রবিবার বাংলাদেশজুড়ে পালিত হল  ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’। এবারের থিম,  ‘খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ থাকুক জনগণ’।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য,  এবছরের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে  ৩২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। বস্তুত, নিম্নমানের খাদ্য উত্‍পাদনের অভিযোগে  ৩২ লাখ টাকা জরিমানাও আদায় করেছে প্রশাসন। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে বাংলাদেশে মোট ১১ হাজার ৩৬৬টি খাদ্য উত্‍পাদনকেন্দ্রে পরিদর্শন করেছে  নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ২০৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে সংস্থাটি। আইন মেনে ব্যবসা না করার অপরাধে জরিমানার মুখে পড়েছেন ২২৬ জন ব্যক্তি। জরিমানার পরিমাণ  ২ কোটি ৪৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। তার আগের বছর অর্থাত্‍  ২০২৩ সালে এই জরিমানা আদায়ের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু অভিযান আর জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না অনিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন বিপণন।

কেন? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রয়োজনের তুলনায় অভিযানের সংখ্যা যৎসামান্য। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকেও কাঠগড়া তুলেছেন তাঁরা। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকারিয়া। জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে বলেন,  ‘আমাদের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করছি। বাংলাদেশে প্রতিটি অভিযান পরিচালনার পর আমরা রিপোর্ট তৈরি করি। যেখানে অপরাধ সম্পর্কে সব তথ্য উল্লেখ থাকে এবং সমাধানও উল্লেখ করা থাকে। ফলোআপের সিস্টেমও আমাদের ডেভেলপ হচ্ছে। তিন মাস, ছয় মাস এবং এক বছর পর পর অভিযানকৃত প্রতিষ্ঠানের খাদ্য আমরা পরীক্ষা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।

 নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের আরও বক্তব্য, ‘বাংলাদেশের আইনে জরিমানার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রান্তিক পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা আমাদের জন্য কঠিন। তবে তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং মোটিভেশনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে’।

আরও পড়ুন:  Fuel Price Rise: ফের দামি হচ্ছে জ্বালানি তেল! লিটার-প্রতি কত করে বাড়ছে দাম? কেরোসিনও কি অগ্নিমূল্য?

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)  

Source link