জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আড়াই বছরের সন্তান। কারণ প্রেমিক শর্ত দিয়েছিল বিয়ে করতে গেলে ওই শিশুপুত্রকে ছাড়তে হবে। আবেগের কাছে হার মেনেছিল মমত্ব। ছেলেকে খুন করে লাশ গায়েব করে দিয়েছিল মা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল পুলিসের নজর এড়াতে ওই তরুণী বার বার হিন্দি ছবি ‘দৃশ্যম’ একের পর এক ফন্দি বের করেছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
আরও পড়ন-এবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হল আম্বানিকে!
ঘটনাটি গুজরাটের সুরতের ডিন্ডোলি এলাকায়। পেশায় নির্মাণকর্মী নয়না মান্ডবি নামে ওই তরুণী খুনে করে ফেলে তা শিশু পুত্রকে। তার পর একটি নির্মীয়মান বাড়ির মধ্যে দেহ পুঁতে দেয়। কিন্তু আসপাশের মানুষের সন্দেহ এড়াবে কীভাবে? তখনই তার মাথায় এসে যায় অজয় দেবগনের ‘দৃশ্যম’ ছবিটি। ওই ছবিতে অজয় দেবগন নিজের মেয়েকে বাঁচাতে নিখুঁত পরিকল্পনা করে। পুলিসের ছেলেকে খুনের পরও অজয়ের নির্ভূল পরিকল্পনা গোটা পরিবারকে বের করে আনে বিপদ থেকে। ঠিক সেইভাবেই এগোতে থাকে নয়না।
ছেলেকে খুনের পরই সে রটিয়ে দেয় তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিসের কাছে গিয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করে। তদন্তে নেমে প্রথমে কোনও কুলকিনারা করতে পারেন পুলিস। কিন্তু নয়নার বয়ানে অসংগতি লক্ষ্য করে তার উপরে সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়। এলাকার একটি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে য়ায় তার ছবি। সেখানে দেখা যায় একটি নির্মীয়মান বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ঢুকছে নয়না। কিন্তু বেরিয়ে যাচ্ছে একলা। এরপরই পুলিস তাকে কড়াভাবে জেরা করতে শুরু করে। প্রথমে বলে নির্মীয়মান বাড়িতে একটি গর্তে ছেলের দেহ পুঁতে রেখেছে। সেখানে খুঁজে পুলিস কিছুই পায়নি। তার পর আরও চাপ বাড়ায় সে বলে ছেলের দেহ ফেলে দিয়েছে একটি পুকুরে। সেখানে খুঁজেও কিছু পাওয়া যায়নি। আরও চাপ বাড়ালে বলে চাপে পড়ে সে ওইসব কথা বলেছে। তবে পুলিস হাল না ছাড়ায় এসসময়ে সে ভেঙে পড়ে।
পুলিসের জেরায় নয়না শেষপর্যন্ত কীভাবে সন্তানকে খুন করেছে তা জানায়। কোথায় দেহ রেখেছে তাও কবুল করে। কেন এভাবে পুলিসকে ঘোল খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল সে? জেরায় সে জানায়, ‘দৃশ্যম’ ছবি দেখে পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে ওই ফন্দি করেছিল। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। সেখানেই থাকে তার প্রেমিক। সে শর্ত দিয়েছে তাকে বিয়ে করতে গেলে ছেলেকে ছাড়তে হবে। সেটা করতেই বারবার বয়ান বদল করেছে সে।