জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কর্ণাটকের উদুপির এক নার্সিং কলেজের টয়লেটে এক ছাত্রীর ভিডিও তোলাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় এলাকা। ঘটনায় জড়িত তিন মুসলিম পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে যে ছাত্রীর ভিডিয়ো তোলা হয়েছে তিনি হিন্দু। পুলিস ও নার্সিং কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি ওই তিন ছাত্রীর কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ভিডিয়োটি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও তৈরি হয়েছে গোলমাল। কারণ ওই ঘটনায় জিহাদি যড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে এলাকার এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তাদের দাবি ওই ভিডিয়ো মুসলিমদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এনিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে এলাকায়।
আরও পড়ুন-গণনার দিন রণক্ষেত্র ভাঙড়, গ্রেফতার ‘মূল অভিযুক্ত’ আইএসএফের পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী
কলেজের চেয়ারম্যান ব্যাখ্য়া দিয়েছেন, মূলত দুটি কারণে ওই তিন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রথমত ক্যাম্পাসে মোবাইল নিষিদ্ধ থাকার পরও ওই তিন পড়ুয়া মোবাইল ব্যবহার করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, অন্যের অনুমতি না নিয়ে তার ভিডিয়ো করা। তবে যে ছাত্রীর ভিডিয়ো করা হয়েছে তিনি পুলিসে কোনও অভিযোগ করেননি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ওই তিন পড়ুয়া তাঁর ক্যাম্পাসেরই। এর পরও এলাকার হিন্দুত্ববাদী সংগঠন অল কলেজ স্টুডেন্ট পাওয়ার দাবি করেছে ওই তিন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে পুলিসি তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি তাদের কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। ওই দাবিতেই উত্তেজনা বাড়ছে এলাকায়।
ওই ভিডিয়ো তোলার অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শেষ করেছে উদুপি পুলিস। সেই তদন্তে পুলিস বলেছে ভিডিয়োটি মুসলিমদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যে। জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেছেন, ওই ভিডিয়ো তোলার ঘটনা একেবারেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যা হয়েছে তা কলেজের মধ্যেই হয়েছে। এর সঙ্গে ধর্মীয় কোনও বিষয় নেই। ছাত্রীটি নিজে কোনও অভিযোগ করেননি। তার পরেও ওই ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর এই কর্ণাটকেই শুরু হয়েছিল হিজাব বিতর্ক। মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরে ক্লাসে আসতে পারবে না বলে ফরমার জারি করে রাজ্যের এক কলেজ। তার পরেই শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। এক মুসলিম ছাত্রীকে ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় গেরুয়া পোশাক পরিহিত ছাত্ররা। পাল্টা আল্লাহু আকবর স্লোগান দেন ওই ছাত্রী। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শেষপর্যন্ত মামলাটি ওঠে আদালতে।