নর্দমায় ভাসতে থাকা ফ্রিজে মিলল বৃদ্ধার কাটা হাত-পা, ট্যাটু দেখে ছেলের কাছে পৌঁছে গেল পুলিস

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লিতে লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে সেই দেহ টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রেখেছিল আফতাব পুনাওয়ালা। তারপর সেই দেহাংশ পালা করে দিল্লির বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে আসে সে। প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটল বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। সেখানে ৩০ বছরের এক তরুণ তার মাকে খুন করে টুকরো করে ফেলে। তারপর সেই সেই দেহাংশ ফ্রিজে ভরে রাখে। সেই ফ্রিজ উদ্ধার হল শহরের এক ক্যানাল থেকে। তার পরেই বেরিয়ে এল সবকিছু।

আরও পড়ুন-বল ভেবে কুড়িয়ে আনার সময় ফাটল বোমা, কব্জি উড়ে গেল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের

ব্রাসেলসের বাইরে লিইগিতে একটি ক্যানালে ওই ফ্রিজটিকে ভাসতে দেখা যায়। সেই ফ্রিজে পাওয়া যায় দুটি হাত ও দুটি পা। এরপরেই খুনের তদন্ত শুরু করে পুলিস। তদন্তে নেমে ওই মহিলার দেহের বাকী অংশ পাওয়া যায় নদীতে ভেসে থাকা একটি কন্টেনারে। মাথা ও মহিলার বাকী দেহাংশ ও ট্যাটু দেখে ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে চিহ্নিত করা হয়।

এদিকে খুনির সন্ধান করতে গিয়ে পুলিসের নজর পড়ে বৃদ্ধার ছেলের উপরে। শেষপর্যন্ত তাকে পাওয়া যায় ব্রাসেলস বিমানবন্দরের কাছে একটি হেটেল থেকে। পুলিসের দাবি, সে দক্ষিণ কোরিয়া পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে সে।

তদন্তে উঠে এসেছে করোনা অতিমারীর পর থেকেই মা-ছেলের মধ্য়ে কোনও বিষয় নিয়ে প্রায়ই বচসা হতো। ওই বৃদ্ধার সঙ্গে থাকতেন তাঁর আরও দুই ছেলে ও নাতি নাতনিরা। তার পরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।

উল্লেখ্য, প্রায়ই একইভাবে তার লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে আফতাব পুনাওয়ালা। খুনের পর দেহ টুকরো করে তা ফ্রিজে ভরে রেখেছিল সে। ফ্রিজ থেকে যাতে গন্ধ না বের হয় তার জন্য ঘরে নিয়মিত ধূত জ্বালতো আফতাব। টানা আঠারো দিন ধরে ওইসব দেহাংশ দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সে ফেলতে শুরু করেছিল। দেহ মোট ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল। ফলে তা ফলতে অনেকটাই সময় লেগেছিল আফতাবের। বাড়িতে যোগাযোগ না করার শ্রদ্ধার বাবার সন্দেহ হয়। তিনিই দিল্লি এসে মেয়ের খোঁজ করেন। তাতেই আফতাবের উপরে নজর পড়ে পুলিসের। তার পরই বেরিয়ে পড়ে ভয়ংকর ওই খুনের কাহিনী।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

 

Source link